দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার বনধে মিশ্র প্রভাব পড়ল রাজ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সকাল থেকেই রেল-সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। অন্যদিনের তুলনায় রাস্তাঘাট শুনশান থাকলেও একেবারে অচল হয়নি জনজীবন। অধিক সংখ্যায় সরকারি বাস রাস্তায় নামানো হয়েছিল। তবে হাতেগোনা বেসরকারি বাসের দেখা মিলেছে। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধের ফলে বাতিল করা হয় অনেক ট্রেন।
বনধ ঘিরে কয়েক জায়গায় উত্তেজনা বাড়লেও বড় কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বর্ধমান, মালদহ, রায়গঞ্জ, ঘাটালে বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। বর্ধমানে বাসে উঠে এক চালককে মারধর করা হয়। কোথাও আবার গাড়ির চাবি কেড়ে নেওয়া হয়, কোথাও আবার চাকার হাওয়া খুলে দেন বনধ সমর্থকরা। অনেক জায়গায় বাসচালকরা মাথায় হেলমেট পরেছিলেন। রাসবিহারী অ্যাভিনিউতেও উত্তপ্ত হয়েছিল পরিস্থিতি। যাদবপুরে বড় গন্ডগোল হওয়ার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। সবথেকে বেশি উত্তপ্ত হয়েছিল সুজাপুর। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। পালটা রবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। তাদের কয়েকটি গাড়িতেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কোচবিহারে কাছারিপাড়ায় পুলিশ ও বনধ সমর্থকদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হলেও দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গ্রেফতার ১৭০
দুপুর দুটো পর্যন্ত রাজ্যে গ্রেফতার ১৭০ জন।
উত্তপ্ত সুজাপুর, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ ঘিরে অশান্তি সুজাপুরে। পুলিশ অবরোধ তুলতে যায়। তখন লাঠি চালানো হয় বলে অভিযোগ। এরপর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকেলক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। পুলিশের একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একাধিক গাড়িতে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস ও রবার বুলেট। জখম পাঁচ পুলিশকর্মী।
বর্ধমানে এসএফআই-তৃণমূল সংঘর্ষ
বর্ধমানে এসএফআই ও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
রাসবিহারী মোড়ে ভাঙচুর বাস
রাসবিহারী মোড়ে অবরোধ বনধ সমর্থনকারীদের। যৌথভাবে অবরোধ করে বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা। বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ-বনধ সমর্থনকারীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল রাসবিহারী থেকে ধর্মতলা দিকে যাওয়ার রাস্তা।
কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধ
শিয়ালদহে মেন লাইনের কাঁচরাপাড়ায় রেল অবরোধ বনধ সমর্থনকারীদের।
বনধের সমর্থনে যাদবপুর-বিশ্বভারতী
বনধের সমর্থনে নামলেন যাদবপুর ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। যাদবপুরের চার নম্বর গেটের বাইরে পিকেটিং করা হয়।
দুর্গাপুরে বাস ভাঙচুর, টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ
দুর্গাপুরে উত্তেজনা। ২ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। বনধ সমর্থনকারীদের হাতে বড় বড় লাঠি ছিল। মিনিট ৪৫ পর পুলিশ অবরোধ তুলে দেয়।
যাদবপুরে ধুন্ধুমার, আটক সুজন
বনধের সমর্থনে যাদবপুর থানা থেকে এইট বি-র দিকে মিছিল করে যাচ্ছিল সিপিআইএম। সেই সময় বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীকে আটক করে পুলিশ। তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করেন বনধ সমর্থনকারীরা। তাঁদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। বাস ও পুলিশ গাড়িতে ভাঙচুর চালান বনধ সমর্থনকারীরা। রাস্তায় কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে র্যাফ নামানো হয়েছে। আটক করা হয়েছে কয়েকজন বনধ সমর্থনকারীদের। কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কোচবিহারে উত্তেজনা
কোচবিহারের কাছারি মোড়ে উত্তেজনা। পুলিশ-বনধ সমর্থনকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি। রিভলবার বের করেন এসআই। সেই ছবি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমগুলিতে সম্প্রচারিত হয়।
চাঁদনি চকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গ্রেপ্তার ৩৫ বনধ সমর্থক
চাঁদনি চকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বনধ সমর্থকদের। গ্রেপ্তার ৩৫।