পৌরসভার এক কর্মীকে প্রথমে মারধর, তারপর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। একদিন আগে সম্পূর্ণ ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পৌরসভার কম্পাউন্ডের ভিতরে। ঘটনায় বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পরিচালন কমিটির সদস্য হিমাংশু সরকার একটুর জন্যে প্রাণে বাঁচেন বলে জানা যায়। আর এরপরই বুধবার পৌরপ্রশাসক অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন।
ভাটপাড়া পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পরিচালন কমিটির সদস্য হিমাংশু সরকারের সহকারী সৌরভ অধিকারী। সৌরভবাবুকে হঠাৎই পৌরসভার ভেতরে মাটিতে ফেলে মারধর করার পাশাপাশি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
এই ঘটনার জেরেই নাকি পদত্যাগ করলেন অরুণবাবু। প্রশাসক মাকসুদ আলম এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'ভাটপাড়া পুরসভায় গুলিকাণ্ডের জেরেই ইস্তফা দিলেন অরুণবাবু। বলেছেন, তাঁর শরীর খারাপ। এরপর এই ধরনের চাপ নেওয়া তাঁর পক্ষে কঠিন।' মাকসুদ আলম দাবি করেন, বাকিরা অনেক বোঝালেও অরুণবাবু মানেননি।
এদিকে জখম সৌরভবাবুকে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগকারীর বক্তব্য অনুযায়ী, চারজন দুষ্কৃতী এসে মোবাইলে তাঁর ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করে ছবিটা কার? কিছু বলতে না বলতেই মারধর করে তাঁকে। মুখে কাপড় বাঁধা থাকায় কাউকে চিনতে পারেননি তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পৌরসভা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত ভাটপাড়া থানা। এই এলাকায় কীভাবে এমন প্রকাশ্যে গুলি চলার ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। আর এরই মাঝে ভাটপাড়া মুখ্য পৌরপ্রশাসক পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরলেন অরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়।