ভূপতিনগরে বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। এমনই দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। দাবি করা হচ্ছে, ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েন নামক একজনের। এই আবহে এবার তিন মৃতকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি উঠল বিভিন্ন মহলে। মৃত রাজকুমার মান্না সম্পর্কে স্থানীয়দের একাংশ সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে, এলাকার মানুষজনকে পার্টি অফিসে গিয়ে পেটাত তৃণমূল নেতা। শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ, বিগত ১২ বছর ধরে গ্রামের ৫০ থেকে ৬০ বিঘা জমিতে কেউ চাষ করতে পারত না।
জানা গিয়েছে, গ্রামের পাশেই হোগলা বন থেকে উদ্ধার হয়েছে একজনের দেহ। স্থানীয়দের দাবি, সেই দেহ রাজকুমারের। এদিকে এই বিস্ফোরণে গুরুতর ভাবে আহত আরও দু’জন। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ২ জন। তাঁরাও মৃত বলেই দাবি করেছেন খোদ তৃণমূল নেতার স্ত্রী। এদিকে অনেকেই রাজকুমার, দেবকুমার এবং বিশ্বজিৎকে ‘দুষ্কৃতী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। অভিযোগ, বোমা বন্দুক নিয়ে এলাকা দাপিয়ে বেড়াত তারা। শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্য বিজেপি নেতারা এই বিস্ফোরণের আসল কারণ উদঘাটন করতে এনআইএ তদন্তের দাবি জানান।
অভিযোগ, রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোম বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময়ই এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে রাজকুমারের বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। বিজেপির দাবি, ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ মৃতদেহ লোপাট করে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, শনিবার অভিষেকের যেখানে সভা করার কথা রয়েছে সেখান থেকে ভূপতিনগরের দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। ভগবানপুরে বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা রবীন্দ্রনাথ মাইতি এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতিতে মৃতদেহ গায়েব করার চক্রান্ত চলছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি না করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নিয়ে যাচ্ছে।’ ঘটনায় পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এদিকে তৃণমূলের দাবি, বিজেপির ষড়যন্ত্রে এই ঘটনা ঘটেছে।