অবশেষে ভূপতিনগরে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফরেন্সিক দল। মঙ্গরবার দুপুরে সেখানে পৌঁছয় ৫ সদস্যের দল। প্রাথমিক তদন্তে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মাটির নীচে পুঁতে রাখা বিস্ফোরকে বিস্ফোরণেই মৃত্যু হয়েছে রাজকুমার মান্নাসহ ৩ জনের।
গত শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণ হয় ভূপতিনগরে। তার পর তিন দিন পার হলেও দেখা মেলেনি ফরেন্সিক দলের। মঙ্গলবার অবশেষে সেখানে পৌঁছয় ফরেন্সিক দল। তদন্ত শুরু করে তাঁরা দেখেন, বিস্ফোরণস্থলে রয়েছে ২টি গর্ত। তার মধ্যে একটি গর্ত আকারে অনেকটাই বড়। তদন্তকারীদের অনুমান ওই গর্তেই কোনও পাত্রে পোঁতা ছিল বিস্ফোরক। সেই বিস্ফোরকে কোনও ভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে তৈরি হয়েছে পাশের গর্তটি।
এদিন কোদাল এনে গর্ত থেকে বিস্ফোরকের নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে আরও বেশ কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। কিন্তু বিস্ফোরণের পর ফরেন্সিক দল পৌঁছতে ৪ দিন কেন লাগল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ৪ দিন পর নমুনা কতটা অবিকৃত অবস্থায় থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।
গত ২ ডিসেম্বর রাত ১১টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে অর্জুন নগর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে প্রবল বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাড়িটি। পর দিন সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ফাঁকা মাঠে উদ্ধার হয় রাজকুমারবাবুর ঝলসানো দেহ। তার থেকেও কিছু দূরে উদ্ধার হয় তাঁর ২ ভাইয়ের দেহ। পুলিশের দাবি, বাজি তৈরির মশলা থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, রাজকুমারবাবুর বাড়িতে বাজি তৈরি হত সেকথা তাঁদের জানা নেই।