ইদানিং সাইবার ক্রাইম বেড়ে গিয়েছে রাজ্যে। আর তার তদন্ত করতে হাঁফিয়ে উঠেছেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার কর্তাদের। কল সেন্টার আড়ালে প্রতিনিয়ত চলছে প্রতারণা চক্র। এবার কল সেন্টারের আড়ালে চলা আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের হদিশ মিলল। আর এই অভিযোগ হাতে পেয়েই হাওড়ার লিলুয়ায় একটি কল সেন্টারের মালিকের বাড়িতে হানা দিল নিউটাউন থানার পুলিশ। আজ, সোমবার সকালে কয়েক দফায় ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ঠিক কী খবর মিলেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে রবিবার দুপুরে হাওড়া জেলার লিলুয়া অঞ্চলের দাসপাড়া এলাকায় নিউটাউন থানার পুলিশের একটি দল আসে। পুলিশ অফিসাররা গৌরব সোনির বাড়িতে যায়। তখন স্থানীয় কৌতুহলী মানুষ ভিড় করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। তখন জানা যায়, কল সেন্টার খুলে পিছনে প্রতারণার চক্র তৈরি করেছিল এই গৌরব সোনি। এই ব্যক্তিই কল সেন্টারের মালিক। তার নির্দেশেই গোটা প্রতারণা চক্রটি চলত।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, গৌরব সোনি বহুদিন ধরেই কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণার কারবার করে চলেছে। সল্টলেক ও নিউটাউন এলাকায় গৌরব সোনির কল সেন্টার আছে। এখান থেকেই আন্তর্জাতিক প্রতারণার কারবার চলত। তাই এই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে নিউটাউন থানার পুলিশ। এখান থেকে ৫৫টি কম্পিউটার এবং নগদ প্রায় ১৪ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করতেই এই চক্রের মূলচক্রী গৌরবের নাম প্রকাশ্যে আসে। তবে তদন্ত এখনও চলছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? এখানে ৮ বছর আগে সোনি পরিবার একটি ছোট বাড়ি কিনে বসবাস শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যে এলাকার বেশ কিছু জায়গা কেনে তারা। এমনকী কয়েকটি বাড়িও বানিয়ে ফেলে গৌরব। একাধিক দামি গাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা যায় গৌরব সোনিকে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এবং হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ অফিসাররা ওই বাড়িতে যেতেই সবকিছুর পর্দাফাঁস হয়ে যায়। তবে যে সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেটা তদন্তে আরও তথ্য দেবে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup