ফলক বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে এবার কড়া ভাষায় চিঠি দিলেন বিশ্বভারতীর উপচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। চিঠিতে তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে শাসকদলের নেতামন্ত্রীরা যে গ্রেফতার তার উল্লেখ করেছেন। নাম না করে অনুব্রত মণ্ডল থেকে মহুয়া মৈত্র সবার প্রসঙ্গই উল্লেখ করেছেন। তৃণমূল একে ফলক বিতর্কে উত্তর না খুঁজে পেয়ে অপ্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক আক্রমণ বলে মন্তব্য করেছে।
ইউনেসকোর স্বীকৃতি দেওয়া হেরিটেজ নাম নেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তা নিয়ে উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উপাচার্য সেই চিঠির জবাব পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় আপনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। ইউনেসকো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করেছে। আমরা এএসআইয়ের নির্দেশ অনুসারে কাজ করছি। খুব শীঘ্রই আপনি তার ফল দেখতে পাবেন।'
চিঠিতে উপাচার্য আরও লিখেছেন, 'আপনি যদি মানুষের টাকা চুরিকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেন, তাহলে আপনার বিশ্বভারতীর সমস্যা বোঝা সম্ভব নয়। আপনার দু'জন সিনিয়র মন্ত্রী জেলে রয়েছেন। বীরভূমে আপনার এক বিশ্বস্তও জেলে রয়েছেন। আপনার নিয়োগ করা উপাচার্য চাকরি বিক্রির অভিযোগে জেলবন্দি। আপনার দলের সব থেকে সরব সাংসদের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটি তদন্ত করছে। আপনার অনেক সহকর্মী শিক্ষা, গরুপাচার, কয়লা, জমি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত। এই সব, মানুষের জন্য যারা কাজ করেন তার ভাব মূর্তির বিপরীতে।'
বিদ্যুৎ চক্রবর্তী লিখেছেন, 'আপনি কান দিয়ে দেখছেন, বিশ্বভারতীর প্রকৃত চাহিদা দেখতে পাচ্ছেন না। যা দেখে আমি বিস্মিত।'
বীরভূম জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ' নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ঘুরিয়ে দিতে এই সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক কথা লিখেছেন উপাচার্য।'