অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ারে অংশ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মালদায় জমজমাট সভা। সেখান থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নতুন কথা জানালেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। মহিলাদের মন পেতে একেবারে মোক্ষম প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কিছুটা হলেও অর্থের মুখ দেখেছেন সাধারণ মহিলারাও। এবার সেই প্রকল্প নিয়ে আশার কথা শোনালের মমতা।
মমতা এদিন বলেন, আমরা যা প্রকল্প ও সামাজিক কাজ করেছি তা বিশ্বের কোথাও হয়নি। এখন তো অনেকে আমাদেরটা টুকে করছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করে মেয়েদের জন্য আমি ভবিষ্যতের জন্য় একটি সুরক্ষা দিয়ে দিয়েছি। আজ যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন যেই তাঁদের ৬০ বছর বয়স হয়ে যাবে তখন তাঁরাই পাবেন বার্ধক্য ভাতা। অর্থাৎ সারাজীবনের জন্য একজন মহিলা পকেটমানি পাবেন। সেটা নিশ্চিত করেছি আমরা।ছেলেমেয়েদের পড়াশোানার জন্যও সব স্কিম রয়েছে।
অর্থাৎ আজ যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন তাঁদের যখন ৬০ বছর বয়স হবে তাঁরাই পাবেন বার্ধক্য ভাতা।
সেই সঙ্গেই মালদার প্রশাসনিক সভা থেকেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে মুখ খোলেন। আগে নিয়ম ছিল স্বাস্থ্য সাথী যার নামে তিনিই কেবল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুযোগ পাবেন। এখন কিন্তু নিয়মের পরিবর্তন হয়েছে। এখন সবাই পাবেন। বাড়ির সব মহিলারাই পেতে পারেন। বিরাট নিয়মের কথা জানিয়ে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গেই তাঁর এই ঘোষণার মাধ্যমে কার্যত মন জয় করে নিলেন হাজার হাজার মহিলার। মনে করিয়ে দিলেন নিয়মের পরিবর্তনের কথা।
অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে আর কোনও বঞ্চনার ব্যাপার নেই। সকলেই পাবেন ভাতা। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। গোটা বাংলা তাকিয়ে রয়েছে নতুন কী সরকারি প্রকল্প তাঁদের জন্য় ঘোষণা করা হয়। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূলের কাছে বড় তুরুপের তাস। প্রতিবছর ভোট এলেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নানা রকমারি ঘোষণা। আর তারপরই শাসকের ভাঁড়ারে লক্ষ্মী লাভ না হলেও ভোট লাভ হয় যথেষ্টই।