ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। ঘাটালের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। প্রতিবার ভোট এলেই এই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের আশ্বাস মেলে। আর ভোট মিটে গেলেই আবার যে কে সেই। তবে এবার একেবারে বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এই বাজেট বরাদ্দের পরে নিজের লোকসভা কেন্দ্রে গিয়ে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বৈঠক করলেন দেব।
রবিবার ঘাটালের টাউন হলে মাস্টার প্ল্যানের মনিটরিং কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দেব। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও ছিলেন বৈঠকে।
বৈঠকের পরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে মুখ খুলেছেন দেব। তিনি জানিয়েছেন, আজ ঘাটালের মানুষ বুঝতে পারছেন আমি ২০২৪-এ কেন ভোটে দাঁড়ালাম। একটাই শর্ত ছিল ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত করা। দিদি আমাকে কথা দিয়েছিলেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান করে দেবেন। এক বছরও হয়নি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের এক তৃতীয়াংশ দিয়েছেন। টেন্ডারের কাজ শুরু হচ্ছে।
এবার প্রশ্ন শিলান্যাস কবে হবে?
দেব জানিয়েছেন, দিদির সঙ্গে কথা বলার পরেই শিলান্যাসের দিন ঠিক করা হবে।
তিনি জানিয়েছেন, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ১৫০০-২০০০ কোটি টাকার প্রকল্প। এটা একা রাজ্য সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। কিন্তু উনি কথা দিয়েছিলেন ও কথা রেখেছেন। আপনারা তিন দিন আগে জেনেছেন। আমি আগেই জেনে গিয়েছিলাম। দিদির সঙ্গে যখনই দেখা হয়, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়েই কথা হয়।
জানুয়ারির শেষ দিকে সংবাদমাধ্যমকে দেব জানিয়েছেন, আগামী ২০২৮ সালের মার্চের মধ্য়ে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ শেষ হবে। তিনি জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যেন ভুল বার্তা না দেন। তাতে প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় দীর্ঘায়িত হবে।
মঙ্গলবার ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে মনিটরিং কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল ঘাটালের মহকুমা শাসকের দফতরে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের সাংসদ দেব, রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, জেলা পুলিশ প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
সেই বৈঠক শেষে মানস ভুঁইয়া জানিয়েছেন, মুখ্য়মন্ত্রীর নজরদারিতে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্য়ানের কাজ শুরু হতে চলেছে। মুখ্য়মন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে তিনি যাতে প্রকল্প শুরুর দিনে উপস্থিত থাকেন।
এদিকে ঘাটালের এই প্রকল্প নিয়ে সেই বাম আমল থেকে নানা দড়ি টানাটানি। কিন্তু বাস্তবের মুখ দেখেনি এই প্রকল্প। একদিকে বিপুল অর্থ অন্যদিকে বিরাট এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প। তবে একবার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঘাটালের বাসিন্দারা প্রতি বছরের সেই ভয়াবহ বন্যার হাত থেকে রেহাই পাবেন।
তবে কেবলমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়, এই প্রকল্পের আওতায় পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি ব্লক সহ মোট সাতটি ব্লক ও ২টি পুর এলাকা জুড়ে হবে। বিরাট এলাকা জুড়ে প্রকল্প।
সাংসদ দেব বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য় সহযোগিতা দরকার। তার মানে এটা বলছি না যে কোনও রাজনৈতিক দলকে বোঝাতে হবে। তারা যাতে মানুষকে ভুল না বোঝান সেই আবেদন করছি।