হঠাৎ পুকুরের জলের কুলকুল শব্দ থেমে গেল। তখনও কেউ কিছু বুঝতে পারেননি। আচমকা দেখা যায়, ডাঙায় উঠে আসছে কুমির! আশ্চর্য লাগলেও এটাই বাস্তব চিত্র। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার গোসাবায় এমন ঘটনাই ঘটেছে। বিরাজনগর গ্রামে নদী থেকে লোকালয়ের একটি পুকুরে ভেসে আসে বিশাল আকারের কুমির। যদিও কুমিরটিকে উদ্ধার করেছেন বনদফতরের কর্মীরা।
ঠিক কী ঘটেছে গোসাবায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে গোসাবা ব্লকের বালি ২ পঞ্চায়েতের বিরাজনগর গ্রামে পুকুরের ধারে কাজ করছিলেন বিমল মণ্ডল। হঠাৎ পুকুরের জল স্থির হতেই তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। তারপরই পুকুরের জলে কি যেন নড়ছে মনে হয় তাঁর। লক্ষ্য করতেই তিনি দেখেন, পুকুরের জলে বিশাল আকারের কুমির ঢুকে পড়েছে। যার দৈর্ঘ্য আনুমানিক ৭ ফুট। তখনই প্রতিবেশীদের খবর দেন। সেখান থেকে খবর যায় বনদফতরে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এই খবর চাউর হতেই বনদফতরে ফোন করা হয়। আতঙ্কে বাড়ি থেকে কেউ বেরোচ্ছিলেন না। কুমির ধরতে তড়িঘড়ি আসেন বনদফতরের কর্মীরা। পুকুর থেকে কুমিরটিকে উদ্ধারের কাজ শুরু করেন তাঁরা। দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় কুমিরটিকে। তারপর টানা হ্যাঁচড়া করে জল থেকে তোলা হয় কুমিরকে।
কুমির বনদফতরের হেফাজতে গিয়েছে জানতে পেরে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন গ্রামবাসীরা। বনদফতর সূত্রে খবর, সাত ফুট দৈর্ঘ্যের কুমিরটি বিদ্যাধরী নদী থেকে লোকালয়ের পুকুরে চলে আসে। কুমিরটি গোসাবায় বনদফতরের কাছে রয়েছে। এখন কুমীরের স্বাস্থ্যের পরীক্ষানিরীক্ষা করা হচ্ছে। সুস্থ থাকলে সুন্দরবনের কোনও এক নদীতে ছেড়ে দেওয়া হবে।