গাড়ি চুরির তদন্ত করতে বাংলায় এসেছিল বিহার পুলিশ। তদন্তে নেমে একজনকে জোর করে আটক করতেই পুলিশের উপর চড়া হয় উত্তেজিত জনতা। আর সেই জনতার ভিড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল বিহার পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের তাড়া খেয়ে শেষমেষ এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বিহার পুলিশ। তবে তাদের ছোড়া গুলিতে একজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। এমনই ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থানার বিলাতি বাড়ি এলাকায়। গুলি চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চাকুলিয়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: দূরে দাঁড়িয়ে দেখেছে, দাড়িভিটকাণ্ডে আদালতের ভর্ৎসনা রাজ্য মানবাধিকার কমিশনকে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিহারের কিষাণগঞ্জ টাউন থানার পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় আসে। তারপরে নূর আলম নামে একজনের গাড়ি ধরে তারা। বিহার পুলিশ দাবি করে, ওই গাড়িটি চুরি করা হয়েছে। তাই গাড়ি সহ চালককে বিহারের থানায় যেতে হবে। একপ্রকার জোর করেই বিহার পুলিশ গাড়ি ও চালককে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গাড়িতে আড়াই লক্ষ টাকা ছিল। সেই টাকাও পুলিশ নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ।
আরও জানা গিয়েছে, নূর আলমের দাদা আবু জালালুদ্দিন গাড়ির কাগজ দেখাতে গেলেও পুলিশ তা দেখতে চায়নি। উলটে জালালকে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। তাকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এরপর বিহার পুলিশ নূর সহ গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ঘটে বিপত্তি। স্থানীয়রা পুলিশকে ঘিরে ধরে। তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তখন ক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে তাড়া করে। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে সেই সময় বিহার পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, পুলিশের ছোড়া বুলেট এক স্থানীয়র হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সেখান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাকুলিয়া থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। চাকুলিয়া থানার পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এবিষয়ে বিহার পুলিশ তাদের অবগত করেনি।
চাকুলিয়া থানার এক পুলিশ অফিসার জানান, ‘এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে বিহার পুলিশ আগে থেকে কোনও যোগাযোগ করেনি। তারা এখানে এসে একজন যুবককে আটক করে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ জানালে সেই সময় পুলিশ ৫ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। তবে আমরা তিনটে গুলির খোল উদ্ধার করেছি। কী কারণে এমন ঘটল সে বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি বিহার পুলিশের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।’