বাসিন্দাদের একাংশের মতে, ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গের স্বাস্থ্য মানচিত্রের হাল ফিরেছে অনেকটাই। কিন্তু তবু এখনও ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকায় নেই অনেক কিছুই। তবু এত কিছু নেই এর মাঝে, ভরসা জোগাতে আছেন করিমুল হকের মতো মানুষেরা। অ্যাম্বুল্যান্স দাদা বলেই পরিচিত তিনি। পদ্মশ্রী করিমুল হক। জীবনের চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখনও তিনি ভরসা অনেকের কাছে। সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায় তাঁর অদম্য জেদ। একটি সময় অ্যাম্বুল্যান্সের অভাবে সঠিক সময়ে নিজের মাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। মায়ের মৃত্যুর পর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন তিনি, আর কাউকে যেন এভাবে চলে যেতে নয়। এরপর চা বাগানে পরিশ্রম করে টাকা জমিয়ে বাইক কেনা। সেই বাইকই রূপ নিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্সে। সেই অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়েই রোগী নিয়ে যেতেন করিমুল হক। আজও যান তিনি। তাঁর এই মহান কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি পদ্মশ্রীও পেয়েছেন। সেই করিমুল হকই আজ অ্য়াম্বুল্যান্স দাদা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, আজও করোনা সংকটের দিনেও ডুয়ার্সের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের বড় ভরসা সেই বাইক অ্যাম্বুল্যান্স। ত্রান্তি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছতে আজও অন্যতম বাহন এই বাইক অ্য়াম্বুল্যান্স। সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়া গেলেও বাইক অ্য়াম্বুল্যান্স ঠিক আসবেই, এটা জানেন বাসিন্দারা। আর এই করোনা আবহের মধ্যেও রোগীর অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এতটুকু পিছুপা নয় বাইক অ্যাম্বুল্যান্স।