রোগী মারা গিয়েছেন অনেক আগে। কিন্তু মৃত ব্যক্তির নাম করে নিয়মিত ডায়ালিসিস হয়েছে দেখিয়ে বিল তোলা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ডায়ালিসিস বিভাগের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে গেছে। কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে চলছে ডায়ালিসিস ইউনিট। বেসরকারি সংস্থা বারাকপুর মেডিকেয়ার এন্ড রিকোভারি সেন্টার লিমিটেড এই ইউনিটটি চালায়। এক বছর আগে মারা গিয়েছেন এমন ব্যক্তির নাম করে প্রতিমাসে সরকারি কোষাগার থেকে টাকা তোলা হত। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের কাছে আসে। জানা যায়, গত বছর ২৩ জুন জলপাইগুড়ির সুভাষ উন্নয়ন পল্লীর বাসিন্দা দল বাহাদুর বিশ্বকর্মা মারা যান। বিশ্বকর্মা একজন পুলিশ অফিসার ছিলেন। কিডনিজনিত সমস্যা থাকায় গত বছর তিনি মারা যান। এই তথ্য যে ঠিক, তা বোঝা গেল দল বাহাদুরের ছেলে প্রভাত বিশ্বকর্মার কথায়। প্রভাত বিশ্বকর্মা জানান, ‘বাবা গত বছর জুন মাসে মারা যান। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটে তিনি ডায়ালিসিস করাতেন।’ এত পর্যন্ত তো ঠিকই ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের চোখ কপালে উঠেছে একটি তথ্য সামনে আসায়। চলতি বছরের ৫ এপ্রিল এই দল বাহাদুর বিশ্বকর্মা নাকি ডায়ালিসিস করিয়েছেন। খাতায় কলমে তা দেখানো হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, একজন মৃত ব্যক্তির কীকরে ডায়ালিসিস হতে পারে? সেই সদুত্তর মেলেনি।
এই প্রসঙ্গে সাফিকুল রহমান জানান, ‘সরকারের তরফে নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হলেও সরকারকে টুপি পরিয়ে নানাভাবে টাকা নেওয়া হচ্ছে। এখানে টেকনিশান ভালো নেই। টাইমটেবিলের কোনও ঠিক নেই। চার ঘণ্টা ডায়ালিসিস দেওয়ার কথা। সেখানে পৌনে তিন ঘণ্টা এরা ডায়ালিসিস দিয়ে ছেড়ে দিচ্ছে।’ জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ জ্যোতিষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘আগে এই ধরনের কোনও অভিযোগ পাইনি। আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করব। এখুনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’