মঙ্গলবার দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠকের পর জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৬জুন জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭মে সরকারি বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করা হবে। এদিন জলপাইগুড়ির ডিভিশনাল কমিশনার এব্যাপারে ঘোষণা করেছেন। আর জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই ফের বেঁকে বসলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। এদিন তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বুধবার থেকে তিনি অনশনে বসবেন।
এখানেই প্রশ্ন কী এমন হল যে জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে এভাবে অনশনে বসতে হচ্ছে গুরুংকে? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে দীর্ঘদিন পরে পাহাড়ে ফিরেছেন গুরুং। কিন্তু এই পাহাড়ে আর আগের জনপ্রিয়তা নেই গুরুংয়ের। গত পুর নির্বাচনেই এনিয়ে অ্যাসিড টেস্ট হয়ে গিয়েছে পাহাড়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে হামরো পার্টি উঠে এসেছে ক্ষমতায়। আর তলানিতে চলে গিয়েছে বিমলের মোর্চা। এদিকে ফের পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গেল। এবার আবার অগ্নিপরীক্ষার সামনে দাঁড়াতে হবে গুরুংকে। তবে কি হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এবার জিটিএ নির্বাচনে আপত্তি জানাচ্ছেন গুরুং?
তবে মোর্চা নেতৃত্ব আগে থেকেই জানিয়েছিলেন পাহাড়ে রাজনৈতিক সমস্যার আগে সমাধান করা দরকার। তারপর জিটিএ নির্বাচন করতে হবে। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠিও দিয়েছেন মোর্চা নেতৃত্ব। আগে থেকেই রিলে অনশন চালাচ্ছেন মোর্চা। এবার তাতে শামিল হবেন গুরুং। এদিকে পাহাড়ে এখন পর্যটনের ভরা মরসুম। তবে কি জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতায় গুরুংয়ের অনশনকে ঘিরে ফের কি অশান্ত হবে পাহাড়?