এবার মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরকালীন জিটিএ নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মতামত জানিয়েছিলেন মোর্চা নেতৃত্ব। পাহাড় সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান না করে জিটিএ নির্বাচন চাইছেন না মোর্চা নেতৃত্ব। একথা রোশন গিরি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিকে রাজ্য সরকার জিটিএ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাহাড়ের অন্যান্য দলও জিটিএ নির্বাচন করা নিয়ে সরকারের পাশে রয়েছে। কিন্তু শুধু উলটো সুর মোর্চার গলায়। কিন্তু একদিকে তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও অপরদিকে জিটিএ নির্বাচনে সায় নেই এই দুই অবস্থানকে মেলাতে পারছেন না অনেকেই।
এদিকে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমাধানের রাস্তা ঠিক করতে কালিম্পংয়ের একটি হোটেলে বৈঠক ডাকা হয় শনিবার। নাম দেওয়া হয়েছে পার্মানেন্ট পলিটিকাল সলিউশন। একাধিক মোর্চা নেতা হাজির রয়েছেন সেই বৈঠকে। সেখানে মোর্চা নেতা রোশন গিরি, লেখক যুবরাজ কাফে, পাহাড়ের তাত্ত্বিক নেতা মহেন্দ্র পি লামা প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন। সেই বৈঠকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি আসেননি। আর সর্বোপরি সেই বৈঠকে উপস্থিত নেই মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে বিমল গুরুং বার বার পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের পক্ষে মত দিয়েছেন তিনিই হাজির হলেন না কনভেনশনে। তবে কি তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীর গোঁসা হতে পারে এই আশঙ্কাতেই কনভেনশন এড়িয়ে গেলেন গুরুং? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে পাহাড়ের অশান্তির জেরে দীর্ঘদিন অন্তরীন অবস্থায় ছিলেন গুরুং। পরে রাজ্য সরকার ও শাসকদলের সঙ্গে সখ্যতা বজায় রেখে তিনি পাহাড়ে ফিরেছেন। সেকারণেই কি তিনি দ্বিমুখী অবস্থান নিচ্ছেন পাহাড়ে? চটাতে চাইছেন না তৃণমূলকে? অন্যদিকে জিটিএ নির্বাচনে গেলেও ফল কতটা ভালো হবে তা নিয়েও সংশয়ে মোর্চা।