জিটিএ নির্বাচন চাননি বিমল গুরুং। তাই আমরণ অনশনে বসেছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা। কিন্তু তৃতীয় দিনেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে নির্বাচনের। ফলে নির্দিষ্ট দিনে যে নির্বাচন হবে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার সুর নরম করে ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল গোর্থা জনমুক্তি মোর্চা।
ঠিক কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? আগামী ২৬ জুন পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বদলীয় বৈঠক করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠাল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। সেখানে লেখা হয়েছে, নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত আরও একবার ভেবে দেখুন। জিটিএ নিয়ে মোর্চার পক্ষ থেকে নবান্নে যে খসড়া প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল সে বিষয়টিও ভেবে দেখুন।
বিমল গুরুং কী অনশন ভাঙবেন? সূত্রের খবর, নবান্ন থেকে সাড়া পেলেই অনশন ভাঙবেন বিমল গুরুং। পাহাড়ে স্থায়ী সমাধান চায় মোর্চা। স্থায়ী সমাধান চায় রাজ্য সরকারও। সেখানে এই অনশন মানতে রাজি নয় সরকার। কারণ গণতান্ত্রিক পথেই পাহাড়ে সমাধেন চায় রাজ্য সরকার। তাই এই নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে সরকার।
এখানে বিজেপির ভূমিকা কী? বিজেপি এখন বিমল গুরুংকে ধোঁয়া দিচ্ছে। যাতে জিটিএ নির্বাচন না হয়। আবার বিমল গুরুংকে সমর্থন করে তাঁকে কাছে পেতে চাইছে বিজেপি। কারণ বিজেপির সঙ্গে জোট ভেঙে বেরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই আইনি পথে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। অথচ নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্যপালের সম্মতিতেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।