প্রায় এক দশক পর পাহাড়ে চলছে জিটিএ নির্বাচন। কিন্তু তাতে নিজেকে সামিল করলেন না বিমল গুরুং। আজ, রবিবার ভোট দিলেন না তিনি। আগেই তিনি বিরোধিতা করে অনশনে বসেছিলেন। একুশের নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধেন তিনি। তাহলে কেন এমন পদক্ষেপ? অনেকেই মনে করছেন, গোপনে সন্ধি করে আপাতত কোনও দলকে তাঁর সমর্থকদের ভোট তুলে দিয়ে হতে চান ‘কিং মেকার’।
তাহলে পাহাড়ে সমীকরণ কী দাঁড়াল? জানা গিয়েছে, এবার জিটিএ নির্বাচনের বিরোধিতা করে ভোটে লড়ছে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, জিএনএলএফ, বিজেপি, গোর্খা লিগ। ৪৫ আসনের সবকটিতে প্রার্থী দিয়েছে, দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় আসা হামরো পার্টি। তাঁর দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ৩৫টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলে দাবি করেছেন অনীত থাপা। এছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস ১০, সিপিআইএম ১১, কংগ্রেস ৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, বিমল গুরুং এখন সিংমারির দলীয় কার্যালয়ে নিয়মিত আসছেন। আর সেখানে কর্মী–সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু জিটিএ নির্বাচনে তিনি নেই। তবে নির্বাচনে নেই বলে খোঁজ রাখছেন না সেটা নয়। খোঁজ রাখছেন এবং লক্ষ্য করছেন এই নির্বাচনে কে কেমন ভূমিকা পালন করছে। জিটিএ নির্বাচনে মোট ভোটার ৭ লক্ষ ৩২৬ জন। মোট বুথ ৯২২টি। স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ৫। জিটিএ নির্বাচনে মোট ২৭৭ জন প্রার্থীর রাজনৈতিক ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৭ লক্ষ ৩২৬ জন ভোটার। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ কর্মী।
বিমল গুরুংয়ের উদ্দেশ্য কী? শনিবার বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, কে জিতল, কে হারল তা নিয়ে তাঁর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। জিটিএকে তিনি বিশ্বাস করেন না। যদিও তিনি একসময় জিটিএ’র চেয়ারম্যান ছিলেন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক পাহাড়ের এক নেতার বলেন, ‘বিমল চুপচাপ থাকার মানুষ না। তিনি কোনও একটি দলে তাঁর অনুগামীদের ভোট তুলে দিয়ে ‘কিং মেকার’ হওয়ার চেষ্টায় করবেন।’