এক বছর পেরোতে না পেরোতেই নদিয়া জেলার প্রাথমিক পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল করিমপুরের তৃণমূল বিধায়ক বিমলেন্দু সিংহ রায়কে। যিনি আবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষকও। বৃহস্পতিবার পর্ষদের তরফে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ খবর জানানো হয়েছে। ঠিক কী কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তা স্পষ্ট নয়। তবে মনে করা হচ্ছে, বিধায়কের বিরুদ্ধে বদলির নামে ঘুষ নেওয়ার একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে গত কয়েক মাসে, সে কারণেই তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চেয়ারম্যান পদে দায়িত্বভার সামলাবেন নদিয়ার জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠি। এ সংক্রান্ত নির্দেশিকা সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিতে পাঠানো হয়েছে।
এই অপসারণের বিষয়টি জানার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন নদিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, 'আমার সময় টেটে নিয়োগ নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই। অথচ সাপ্লিমেন্টারি নিয়োগ নিয়ে কত অভিযোগ। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সিসিটিভি ও চেয়ারম্যানের চেম্বারে আইহোল রাখা হয়েছিল। কেন সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল?'
চেয়ারম্যান হিসাবে বিমলেন্দুর ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক স্কুল পরিদর্শক। তাঁদের অভিযোগ, উনি সবাইকে বাড়ির চাকর মনে করতেন। বিধায়ক হিসাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন। যদিও এ নিয়ে বিমলেন্দুর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
তবে বিরোধীরা বলছেন, যে ভাবে বিমলেন্দুর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমা হচ্ছিল তাতে এবার তাঁর সময় এসেছে এডি-সিবিআই ডাকের। তাই তার আগেই তড়িঘড়ি করে পর্ষদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল করিমপুরের বিধায়ককে।