অর্পিতা ঘোষ জেলা সভাপতির পদ থেকে সরতেই তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটল দক্ষিণ দিনাজপুরের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বিপ্লব মিত্রের। দীর্ঘদিন জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন তিনি। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের পর শিবির বদলান বিপ্লববাবু। তবে গেরুয়া শিবিরে বছর খানেকও কাটাতে পারলেন না তিনি। ফিরলেন তৃণমূলে।
বিপ্লববাবুর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে জল্পনা অনেক দিন ধরেই চলছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেল দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখনই স্পষ্ট হয়ে যায় তাঁর পুরনো দলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন পার্থবাবু।
২০১৯-এর ভোটে বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের কাছে হার হয় তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষের। অভিযোগ ওঠে, অন্তর্ঘাত করে অর্পিতাকে হারিয়েছেন বিপ্লব। এর পরই তৃণমূল ছাড়েন তিনি। মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি।
বিপ্লববাবুর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, বিজেপিতে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না বিপ্লববাবু। তেমন গুরুত্ব পাচ্ছিলেন না গেরুয়া শিবিরে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরেই ক্ষোভ দানা বাঁধছিল তাঁর মনে। গত সপ্তাহে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের সময় অর্পিতাকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদ থেকে অপসারণ করেন মমতা। ফলে বিপ্লবের তৃণমূলে ফেরার পথ মসৃণ হয়।
এদিন বিপ্লববাবুর সঙ্গে তাঁর অনুগামীরাও তৃণমূলে ফেরেন। তবে জেলায় তৃণমূলের যে ছন্নছাড়া দশা তা বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি কতটা গোছাতে পারবেন তা লাখ টাকার প্রশ্ন।