একেবারে মেজাজি কায়দায় জেলার মাটিতে পা রেখেই বিজেপি শিবির ভাঙার হুংকার দিলেন বিপ্লব মিত্র। কয়েকশো গাড়ি ও কয়েক হাজার কর্মীর দীর্ঘ র্যালি করে বুঝিয়ে দিলেন তিনি এক ইঞ্চি জমি ছাড়বেন না গেরুয়া শিবিরকে। লোকসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে মোহভঙ্গ হতেই ফের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফিরে এলেন বিপ্লব।
গত বছর ৩১ জুলাই তিনি পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন। তাতে দল খানিকটা অক্সিজেন পেল বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের দুর্বল সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বিপ্লব মিত্রের ওপরেই আস্থা রেখেছেন। আর তিনি যে সেই আস্থা রাখবেন তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন।
তাই প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীকে সরিয়ে তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুরের চেয়ারম্যান করে দেন। শঙ্কর চক্রবর্তীকে রাজ্য সহ–সভাপতি করা হয়। চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর কলকাতা থেকে এদিন বিপ্লব মিত্র প্রথম দক্ষিণ দিনাজপুরে পা রাখেন। হিলি, বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ–সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁর অনুগামীরা তাঁকে পেয়েই উল্লাস ও হর্ষধ্বনি শুরু করে দেয়।
এদিন তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ দিনাজপুরে এখন উল্টো ঘটনা ঘটবে। এতদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা ঘটেছে। দল তাঁকে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি তার উপর আস্থা রাখায় এবার উল্টে বিজেপি ভেঙে সবাই এবার তৃণমূলে আসবে।’