অপহরণের পর খুন করে বীরভূমের ব্যবসায়ী ও তাঁর চালকের দেহ খালে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ডানকুনিতে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। জোড়া মৃত্যুর অভিযোগে তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকদের জেরা করে এই খুনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডানকুনির একটি খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা মৃত ব্যবসায়ীর নাম শামিম হোসেন (২১)। দুই দাদার সঙ্গে বিস্কুটের পাইকারি ব্যবসা করতেন শামিম। কলকাতা থেকে গাড়ি করে বিস্কুটের প্যাকেট বীরভূমে নিয়ে যেতেন তিনি। সেখানে পাইকারি দরে তা দোকানে দোকানে সরবরাহ করতেন তাঁরা।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো গত ৪ অগস্ট শামিম ও তাঁর গাড়ির চালক বরুণ মুর্মু ইলামবাজারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবারের দাবি, কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এর র তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সারা রাত কেটে গেলেও দু’জনে আর বাড়ি ফেরেননি। পরে জামালপুর থেকে তাঁদের গাড়ি উদ্ধার করা হয়। ৫ তারিখে জামালপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শামিমের পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে জামালপুর থানার পুলিশ। এরপর নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ডানকুনি থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে জামালপুর থানার পুলিশ। দুই থানার যৌথ উদ্যোগে শেখ আখতার, কালো ও বাবু নামের তিনজন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের জেরা করেই জোড়া খুনের তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শামিম ও তাঁর চালক বরুণকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর তাঁদের দেহ ডানকুনির খালে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। সকাল থেকে ডানকুনির ওই খালে তল্লাশি চালানো হলেও এখনও পর্যন্ত দু’টি দেহের কোনও হদিস পাওয়া যায়নি।তদন্তকারীদের আরও একটি বিষয় ভাবাচ্ছে যে, কীভাবে শামিমের গাড়ি জামালপুরে পৌঁছাল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুনের দিক থেকে নজর ঘোরাতেই মৃতদের গাড়ি জামালপুরে রেখে আসা হয়েছিল।