ফের বীরভূমে গাড়ি বিতর্ক। এবার অভিযুক্ত জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতার কাছ থেকে গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান তিনি। এমনই অভিযোগ করেছেন নলহাটির বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অনিল সিং। অভিযোগ মহম্মদবাজারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুভ্রাংশু চৌধুরীর নামে নথিভুক্ত। তবে ধ্রুব সাহা ও শুভ্রাংশু চৌধুরী দুজনেই জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁর নামে কেনা গাড়ি চড়েন ধ্রুববাবু।
অনিল সিংয়ের দাবি, ধ্রুব সাহা WB54V2828 নম্বরের যে গাড়িটি চড়েন সেটি মহম্মদবাজারের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শুভ্রাংশু চৌধুরীর কাছ থেকে ঘুষ হিসাবে নিয়েছেন তিনি। ওই গাড়ি এখনও শুভ্রাংশুবাবুর নামে নথিভুক্ত।
অভিযোগ অস্বীকার করে ধ্রুব সাহা বলেন, শুভ্রাংশু আর আমি ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলাম। ওর কাছ থেকে গাড়িটি আমি কিনেছি। গাড়িটির কিস্তি এখনো বকেয়া রয়েছে। তাই নাম বদল করা যাচ্ছে না। কিস্তু শোধ হয়ে গেলে আমার নামে নথিভুক্ত করিয়ে নেব। একই কথা বলেছেন শুভ্রাংশুবাবুও।
বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত শুভ্রাংশুবাবু বিজেপি করতেন। ধ্রুব সাহার সঙ্গে তাঁর পারিবারিক যোগাযোগও রয়েছে। এর পিছনে রহস্য খুঁজতে যাওয়া ঠিক নয়।
ওদিকে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অনুপম হাজরা বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, বীরভূমে অনেক বিজেপি নেতার সংসার তৃণমূলের টাকায় চলে। তেমনটা হলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না। আমি তাদের দল থেকে তাড়িয়ে ছাড়ব।’
শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলের চালকলে সিবিআই অভিযানের সময় খোঁজ পাওয়া যায় একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির। কিন্তু নথি খতিয়ে দেখা যায় কোনওটিরই মালিক অনুব্রতবাবু বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা নন। এর পর সিউড়ির এক ব্যবসায়ী সংবাদমাধ্যমের সামনে দাবি করেন, তাঁর কাছ থেকে জোর করে গাড়ি নিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল।