দলের কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা নেই, এই অভিযোগ করে গত ২ জানুয়ারি তৃণমূলের অঞ্চল কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। তার পর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে সেই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই উঠল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ। অভিযোগ, আইনি বিবাহ হলেও স্ত্রীকে অস্বীকার করছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল নেতা অভিনিবেশ রায়। যার জেরে রবিবার দুপুরে আত্মঘাতী হন সোহিনী সূত্রধর নামে ওই মহিলা। এই ঘটনায় অভিনিবেশ রায়ের নামে দুবরাজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার।
বীরভূম জেলা তৃণমূলের আইটি সেলের সদস্য ছিলেন সোহিনী। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন। রবিবার দুপুরে দুবরাজপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকায় বাড়ির দোতলার ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সোহিনীর বাবা গজানন সূত্রধর জানিয়েছেন, দুপুরে মেয়ে দুপুরে দোতলায় নিজের ঘরে ঘুমাচ্ছিল। তখন তাঁর এক বন্ধু আসে। আমি তাঁকে বলি ও ঘুমাচ্ছে। কিন্তু বন্ধুটি দেখা করার জন্য জোর করতে থাকে। তখন ওর ঘরে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। কিছুক্ষণ পর দরজা ভেঙে ওকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। দুবরাজপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিবারের অভিযোগ, অভিনিবেশের সঙ্গে মেয়ের আইনি বিয়ে হয়েছিল। তার পরও তাঁকে স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি দিচ্ছিলেন না ওই তৃণমূল নেতা। ওর সঙ্গে একাধিক মহিলার যোগাযোগ রয়েছে। অভিনিবেশের প্ররোচনাতেই সোহিনী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। এব্যাপারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।