আজ, বুধবার একটা ঘটনা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বীরভূমে এবং রাজ্য–রাজনীতি তে। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বিধানসভা উপনির্বাচনে নৈহাটির প্রার্থীর পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থন করেছিলেন প্রথমসারির তিনটি ফুটবল দলের কর্তারা। আর সেটাকে নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজনীতির সঙ্গে নাম জড়িয়ে গেল বাংলার ক্রিকেটের। সিএবি টুর্নামেন্টের আসরে ক্রিকেট কর্তাদের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গেল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। সিএবি কর্তাদের পাশে দাঁড়িয়েই সংবর্ধনা নেন তিনি। আর এখানেই বাঁধল বিতর্ক।
গতকাল বীরভূমের ডিএসএ গ্রাউন্ডে সিএবি’র আন্তঃজেলা টি–২০ টুর্নামেন্টের ফাইনাল হয়। সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে মঞ্চে তখন ছিলেন বীরভূম জেলার জেলাশাসক বিধান রায়, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। ওই মঞ্চেই বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে সংবর্ধনা জানানো হয়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদার পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন কেষ্ট মণ্ডল। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। একবার রাজনীতির সঙ্গে ক্রীড়া জুড়ে গিয়েছিল। এখন ক্রীড়ার সঙ্গে রাজনীতি জুড়ে গেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন: বস্তায় যুবকের টুকরো করা দেহ উদ্ধার বীরভূমে, স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পুলিশ
গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল সদ্য জামিনে মুক্তি পেয়ে তিহাড় জেল থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকটি বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছে। তবে কোনও এখনও পর্যন্ত অরাজনৈতিক মঞ্চে পা রাখতে দেখা যায়নি অনুব্রত মণ্ডলকে। এবার অনুব্রত মণ্ডলকে অরাজনৈতিক একটি মঞ্চ থেকে সংবর্ধনা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। যদিও ওই অনুষ্ঠানের সঙ্গে সিএবি’র কোনও সম্পর্ক নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিএবি সভাপতি তথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। এটা একেবারেই বীরভূম জেলা সংস্থার বিষয়।
এছাড়া বীরভূমে কোনও বড় অনুষ্ঠান বা উৎসব হলে জেলা সভাপতি হিসাবে অনুব্রত মণ্ডল থাকতেই পারে। আদালত এই বিষয়ে কোনও নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের সঙ্গে সরাসরি সিএবির কোনও সম্পর্ক নেই। টুর্নামেন্টের আয়োজক বীরভূম জেলা স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। এখানে ওরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে কারা আমন্ত্রিত ছিলেন সেটার দায় আমার বা সিএবির নয়। আমি, সিএবি’র যুগ্ম সচিব এবং অন্যান্য কর্তারা সবাই সেখানে ছিলাম।’