নতুন বছরের প্রথম দিনই ফের বিতর্কের সঙ্গে জড়াল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম। রাস্তা নিয়ে ফের সঙ্ঘাতে জড়াল রাজ্য সরকার ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের ঠিক সামনের রাস্তাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করেন বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই তাতে অসুবিধায় পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা সেই খবর পেয়ে এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচিলের কাজ বন্ধ করেন। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী।
এদিন সকালে শান্তিনিকেতন দূরদর্শন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা ঘেরাওয়ের কাজ শুরু হয়। রাস্তার মাঝেই একটি পাঁচিল তুলে দেওয়া হচ্ছিল। তা দেখে রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, শান্তিনিকেতন যাওয়ার জন্য লাল পুল, চিত্রা মোড়ের যানজট এড়িয়ে এই রাস্তাই ছিল শর্টকাট। কিন্তু সেই রাস্তায় পাঁচিল তুলে দেওয়ায় নতুন করে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। অবিলম্বে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে দেওয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা। অন্যথায় পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
শুক্রবার দুপুরেই সেখানে পৌঁছন বীরভূমের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। নির্মাণ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে ওই কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন তাঁরা। ততক্ষণে অবশ্য কিছুটা পাঁচিল তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এদিকে, এদিনই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী, বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ থেকে কালিসায়ের মোড় পর্যন্ত রাস্তা অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতর। সম্প্রতি বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে ওই রাস্তার দখল নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ সেই রাস্তার উদ্বোধন করেন জেলার পুলিশ সুপার ও জেলাশাসক।