দেউচা–পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্পের কাজে দেরি হচ্ছে কেন? দ্রুত তা করতে হবে। এই প্রশ্ন তুলে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই নির্দেশের পরই দেউচা–পাঁচামি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করতে আজ, শুক্রবার বীরভূমে এলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার এবং পিডিসিএল–এর সচিব পিবি সেলিম। বোলপুর স্টেশনে নামার পর তাঁরা সোজা চলে যান মহম্মদবাজার বিডিও অফিসের দিকে। আজ সেখানে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। তারপর স্থানীয় আদিবাসীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন এই প্রকল্প নিয়ে প্রশাসনিক কর্তারা।
এদিকে গতকাল ২ জানুয়ারি নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে দেউচা–পাঁচামি প্রকল্পের কাজে মন্থর গতি এবং জমি অধিগ্রহণে ঢিলেমির জন্য জেলাশাসক বিধান রায়কে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানান, জমি অধিগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে না। আর দেউচা–পাঁচামি প্রকল্পের কাজ অনেকটাই থমকে গিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে তা করতে হবে। কেন এমন হচ্ছে? সেটা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে হবে। আর আজ বোলপুর রেলস্টেশনে মুখ্যসচিব–সহ পদস্থ কর্তাদের স্বাগত জানাতে হাজির হন জেলা পুলিশ–প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসাররা। বোলপুর রেলস্টেশন থেকে তাঁরা রওনা দেন দেউচা–পাঁচামি কয়লা খনিতে।
আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চাইল সিবিআই, আরজি কর কাণ্ডের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, সাজা ঘোষণা বাকি
প্রকল্প এলাকায় গিয়ে সমগ্ৰ অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে সেই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে তাঁরা জমা দেবেন বলে সূত্রের খবর। মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির দফতরের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, পিডিসিএল–এর সচিব পিবি সেলিম, জেলাশাসক বিধান রায়, বিডিও মহম্মদবাজার, এডিজি (পশ্চিমাঞ্চল) অশোক প্রসাদ, ডিআইজি (বর্ধমান রেঞ্জ) শ্যাম সিং, জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।
আর একবছর পর বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে বাংলায়। তাই কোনও প্রকল্প আটকে থাক সেটা চান না মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি প্রকল্প দেউচা–পাঁচামি। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে একদিকে উন্নয়ন অপরদিকে কর্মসংস্থান একধাক্কায় অনেকটা হবে। জমি অধিগ্রহণ নিয়ে কিছু অভিযোগ রয়েছে। আবার চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ করার বিষয়টি রয়েছে। আজ মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করব। স্থানীয় আদিবাসী মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলব। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই এই সফর। দ্রুত কাজ করার লক্ষ্য নিয়েই বৈঠক হবে।’