এই দিন কয়েক আগেও তাঁর সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বিবাদের কাহিনী স্থান পেত সংবাদপত্রের প্রথম পাতায়। সেই শতাব্দী রায় কিন্তু অনুব্রতর গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর প্রতি বেশ সদয়। শনিবার বীরভূমের দুবরাজপুরে বিজেপির পালটা সভা থেকেও অনুব্রতর পাশে থাকার ডাক দিলেন তিনি। এদনের সভায় ছিলেন বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অসিত মালসহ তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সমস্ত বিধায়ক ও নেতা-নেত্রী এবং কর্মীরা।
শুক্রবার দুবরাজপুরের খয়রাশোলে যে মাঠে শুভেন্দু অধিকারী সভা করেন শনিবার সেখানেই সভা করে তৃণমূল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শতাব্দী রায় বলেন, ‘আমরা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেখে দল করিনি। দল করেছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী করেছে না করেছে তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না। একটা পরিবারের একজন চুরি করলে পরিবারের সকলেই চোর হয়ে যায় না। আমরা তৃণমূল করি। আমরা তৃণমূলকে নিয়ে গর্ব করি। আমরা মমতা ব্যানার্জিকে ভালোবাসি। তাকে দেখেই ভোট দেব’।
আবার পরীক্ষায় বসবে বন্দে ভারত, পাশ করলেই পুজোর উপহার
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তারপর লোকসভা নির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে BJP ৮টাও সিট পাবে না। আর সে কারণেই ED, CBI দিয়ে তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। ওরা জানে ওরা ২৪শে ভোট পাবে না। সে কারণেই ২৪ অবধি তৃণমূল কংগ্রেসকে ডিস্টার্ব করতে চাইছে, এটাতে কান দেবেন না।
অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে তিনি মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘যদি ধরে নেওয়া যায় অনুব্রত মণ্ডল হাতি, তিনি কাদায় পড়েছেন। তাহলে তো বিরোধীরা টিকটিকি। অনুব্রত মণ্ডল যখন সেই কাদা ধুয়ে আবার সাধারণ মানুষের সামনে আসবে তখন কি টিকটিকির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে? অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল ভালো সময়ে আপনাদের সঙ্গে থেকেছে। অনুব্রত মণ্ডলের এখন খারাপ সময় চলছে এখন আপনাদের তার সাথে থাকতে হবে’।