আরজি কর হাসপাতাল কান্ডের মধ্যে আবার অস্বাভাবিক মৃত্যু খবর মিলল। বাংলার হোটেল ম্যানেজমেন্ট ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিউড়ির মল্লিক গুণ পাড়ার বাসিন্দা পিয়া দাস হোটেল ম্যানেজমেন্টের ট্রেনিং নিতে গিয়েছিল গুজরাটে। নিহত ছাত্রীর বাড়ি বীরভূমের সিউড়িতে। গুজরাটের একটি বেসরকারি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজে পড়তে গিয়েছিলেন। কিন্তু এই কলেজ থেকে পরিবারের কাছে খবর আসে ছাত্রী পিয়া দাস আত্মহত্যা করেছে। আর এখানেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, গত ১২ সেপ্টেম্বর হঠাৎ দাস পরিবারের কাছে গুজরাটের ওই হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট থেকে ফোন আসে। সেই ফোনে বলা হয়, ‘আপনার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।’ এই কথা শুনেই পরিবারের সদস্যরা সেখানকার লোকাল থানায় যোগাযোগ করে মেয়েটির মৃতদেহ নিয়ে খোঁজখবর করেন। কেমন করে মৃত্যু হল? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার পিছনে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। একটা মেয়ে অযথা আত্মহত্যা করতে যাবে কেন? এই প্রশ্নও উঠেছে।
আরও পড়ুন: ‘জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে না ফিরলে কী করব?’ সিব্বলের সওয়ালের জবাব প্রধান বিচারপতির
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সিউড়ির মল্লিক গুণ পাড়ার বাসিন্দা পিয়া দাস হোটেল ম্যানেজমেন্টের ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন গুজরাটে। ১২ সেপ্টেম্বর হঠাৎ তাঁদের কাছে গুজরাটের ওই কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি ফোন করা হয়। সেখানেই আত্মহত্যার কথা জানানো হয়। নিহত ছাত্রীর মৃতদেহ গতকাল রাতে আসে সিউড়ির বাড়িতে। সেখানকার পুলিশ এবং হোটেল ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট এই মৃত্যুর পিছনের ঘটনাকে তুলে ধরেনি। শুধুমাত্র অস্বাভাবিক মৃত্যু বলেই দেখানো হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, গুজরাট পুলিশ প্রশাসন কোনওভাবেই সাহায্য করেনি। মোদীর রাজ্যে বাংলার ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলেও কোনও হেলদোল নেই ওদের। এমনকী গুজরাটের স্থানীয় থানার পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা অভিযোগ তুলেছেন হোটেল ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও। নিহত ছাত্রীর পরিবারের দাবি, শুধুমাত্র অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে দায় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। সঠিক তদন্তের দাবি তোলা হচ্ছে।