বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Birbhum Student Murder: দেনার দায়ে বিরিয়ানি-মদ খাইয়ে বন্ধুকে খুন! রহস্যভেদ বীরভূমের ছাত্র হত্যাকাণ্ডের

Birbhum Student Murder: দেনার দায়ে বিরিয়ানি-মদ খাইয়ে বন্ধুকে খুন! রহস্যভেদ বীরভূমের ছাত্র হত্যাকাণ্ডের

মৃত ছাত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন ওরফে জয়

প্রাথমিক তদন্তের পর বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানান, গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছিল সৈয়দকে। এদিকে বন্ধু সলমনের হাতেও অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল।

বাগুইআটির জোড়া ছাত্র খুনের কায়দায় খুন হয়েছেন বীরভূমের এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র। সেই ঘটনার পর্দা ফাঁস হগল পুলিশের কাছে। জানা গিয়েছে, বীরভূমের খয়রাশোলের পাথর ব্যবসায়ীর পুত্র সৈয়দ সালাউদ্দিন ওরফে জয়কে খুন করে তাঁর বন্ধু শেখ সলমন। প্রাথমিক তদন্তের পর বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানান, গলার নলি কেটে খুন করা হয়েছিল সৈয়দকে। এদিকে বন্ধু সলমনের হাতেও অস্ত্রের কোপের চিহ্ন ছিল।

প্রথমে যদিও বা সলমনের দাবি ছিল, তাঁরা জঙ্গলে মদ খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনজন এসে সালাউদ্দিনকে খুন করে। ঘটনার সময় সলমন নিজের প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে যায় বলে দাবি করে। তবে পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় সলমন মেনে নেন যে সেই সালাউদ্দিনকে খুন করেছে। সালাউদ্দিনের বন্ধু সালমানের বাড়ি আহমেদপুর। অভিযুক্ত পুলিশকে জানায়, বাজারে তার অনেক দেনা ছিল। তাই বন্ধুকে অপহরণ করে টাকা মেটানোর ছক কষেছিল সে। এই আবহে বন্ধুকে ডেকে আনে সে। প্রান্তিক এলাকায় একটি দোকানে বিরিয়ানি খায় দুজনে। পরে মদের বোতল কিনে চৌপাহাড়ি জঙ্গলে যায়। সেখানেই ঘটনা ঘটে।

শনিবার গভীর রাতে সৈয়দের বাবা আবদুল মতিনের মোবাইলে ফোন করা হয় তাঁরই মোবাইল থেকে। ফোনে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ঘটনার পর সালাউদ্দিনের বাবা আবদুল মতিন মল্লারপুর থানায় বিষয়টি জানান। সালাউদ্দিনের বন্ধু শেখ সলমনের উপর সন্দেহ করা হয়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে।

মুক্তিপণ দেওয়ার জন্য সৈয়দের বাবাকে রাত দুটো পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে মাঝ রাতে জানতে পারা যায়, চৌপাহাড়ি জঙ্গলে সালাউদ্দিনের মৃতদেহ গলাকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিশ সালাউদ্দিনের বন্ধু সলমনের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে জেরার মুখে নিজের বন্ধুকে খুন করার ঘটনা মেনে নেয় সলমন। 

 

 

বন্ধ করুন