অভাবে নষ্ট হয়নি স্বভাব। তাই দারিদ্রে দিন কাটলেও পাকা বাড়ি থাকায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর। বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে তেমনই ২ জন দায়িত্বশীল নাগরিককে স্বীকৃতি দিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। তাঁদের হাতে স্মারক তুলে দিলেন জেলাশাসক।
রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের জেরে পথঘাট বাইতে পারছেন না তৃণমূলের নেতা - মন্ত্রী - বিধায়করা। সব জায়গায় একই অভিযোগ, পাকা বাড়ির মালিকরা বাড়ি পেলেও বাড়ি পাননি কাঁচা ঘরের বাসিন্দারা। এই নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েননি এমন তৃণমূল নেতা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তারই মধ্যে বিরল নজির হয়ে উঠে এসেছেন ২ জন। তালিকায় নাম থাকলেও পাকা বাড়ির মালিক হওয়ায় প্রশাসনের কাছে সেই নাম প্রত্যাহারের আবেদন জানান তাঁরা। এমন বিরল নজির স্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার ময়ূরেশ্বরেরে প্রিয়া চট্টোপাধ্যায় ও মুরারইয়ের রুহুল আমিনকে স্মারক তুলে দেন বীরভূমের জেলাশাসক।
স্বীকৃতি পেয়ে ময়ূরেশ্বরের উলকুন্ডা পঞ্চায়েতের বাসিন্দা প্রিয়াদেবী বলেন, ‘মাথার ওপর ছাদ না থাকার যন্ত্রণা আমি জানি। তাই চেয়েছি একজন প্রকৃত প্রাপক ঘটনা পান।’ রুহুল আমিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন অনুসন্ধান করে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম বাদ দিয়েছে। তার পরও অনেকের নাম তালিকায় রয়ে গিয়েছে। তাদের প্রশাসনের কাছে তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহারের আবেদন করা উচিত। সরকারি টাকার অপচয় ঠিক নয়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।’
সম্মান স্মারক নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে শিবতলা পাড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরতেই প্রিয়াদেবীকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা।