সম্প্রতি সিউড়ির ২ নম্বরে ব্লকের ইন্দ্রগাছা মোড়ে একটি মন্দিরের হনুমান মূর্তি ভাঙার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। এবার সেই ঘটনায় অমিত মালব্যকে পালটা আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। বিজেপি অভিযোগ করে, সিদ্দিকুল্লা নাকি দাবি করেছিলেন, বাংলাদেশ নিয়ে এদিকে বেশি 'বাড়াবাড়ি' হচ্ছে। তাঁর উস্কানিমূলক মন্তব্যের কারণেই নাকি বীরভূমের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে বিজেপির সেই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের দেবাংশু দাবি করলেন, ইন্দ্রগাছার ঘটনায় পুলিশ অবিলম্বে পদক্ষেপ করেছে। (আরও পড়ুন: হিন্দু নির্যাতন নিয়ে মিথ্যা বলা হচ্ছে, বিশ্ব মঞ্চে মুখ বাঁচাতে দাবি বাংলাদেশের)
আরও পড়ুন: আরজি কর মামলায় সন্দীর ঘোষ সহ ৫ জনের নামে ১২৫ পাতার চার্জশিট গ্রহণ করল না আদালত
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করল দক্ষিণবঙ্গে, বৃষ্টি জায়গায় জায়গায়
বীরভূমের ঘটনা নিয়ে এর আগে অমিত মালব্য টুইট করে লিখেছিলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, গতকাল কলকাতায় উস্কানিমূলক হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর সেই হুমকি গ্রেট কলকাতা হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। পশ্চিমবঙ্গকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই আবহে সিউড়ির ইন্দ্রগাছা গ্রামে কয়েক দশকের পুরনো হনুমান মন্দির ও মূর্তির অপমান করা হয়েছে। বেঙ্গল পুলিশ এই নিয়ে উদাসীনতা দেখিয়েছে। কারণ এই ধরনের ঘটনাগুলি আপাতদৃষ্টিতে টিএমসির ভোট ব্যাঙ্কের অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই। এবং ভবিষ্যতে যাতে হিন্দুদের অনুভূতিতকে আর আঘাত না করা হয়, তার জন্যে দৃঢ় পদক্ষেপের নজির দেখতে চাই।' (আরও পড়ুন: একদিনে ৪ মন্দিরে হামলা বাংলাদেশে, তবে ভারত নিয়ে 'চিন্তিত' ইউনুসের উপদেষ্টা!)
আরও পড়ুন: নবীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ, বাংলাদেশে গ্রেফতার হিন্দু নাবালক
আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে প্রসাদ দিতে গিয়ে আটক ২ সন্ন্যাসী, পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
আর এরপরই অমিত মালব্যকে তোপ দেগে পালটা পোস্ট করেন দেবাংশু। তিনি দাবি করেন পুলিশ এই ঘটনায় পদক্ষেপ করেছে। নিজের পোস্টে তৃণমূল নেতা লেখেন, 'অমিত মালব্য যদি কোনও একটি জিনিসে খুব ভালো হয়ে থাকেন, তাহলে সেটা হল বিজেপির বিভেদমূলক সাম্প্রদায়িক নীতির প্রচার। এই ট্রোল মাস্টারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সঠিক তথ্য উপস্থাপন করতে চাই: ইন্দ্রগাছা ইস্যুতে বীরভূম পুলিশ অবিলম্বে পদক্ষেপ করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। দোষীরা যাতে সাজা পায়, তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাই এখানের ঘটনা নিয়ে নিজের মুখ না চালিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যের অরাজকতা তুলে ধুরুন। সেখানে তো অপরাধীদের নিয়ে উল্লাস করা হয়। সেখানে আইনশৃঙ্খলাহীনতাই একটা ব্র্যান্ড।'