কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছি। এই দাবি করে সোশ্যল মিডিয়ায় পোস্ট করে দলীয় পদে ইস্তফা দিলেন বীরভূমে তৃণমূলের অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি। হেতমপুর অঞ্চলে দলের কার্যকরী সভাপতি অভিনিবেশ রায়ের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে দুবরাজপুরে দলের অন্দরে শোরগোল শুরু হয়েছে। অভিনিবেশবাবুর ইস্তফা যে ভালো লক্ষ্মণ নয় তা মেনে নিয়েছেন অঞ্চল সভাপতি। ওদিকে বিজেপির দাবি, অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দে বিদীর্ণ বীরভূম জেলা তৃণমূল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনিবেশবাবু লিখেছেন, ‘দলীয় কাজ কর্মে সময় দিতে না পারার জন্য ও কর্মীদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা না থাকায় আমি অঞ্চল কার্যকরী সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। দলের অন্যান্য কাজে লিপ্ত থাকব। কিন্তু হেতমপুর অঞ্চলের কোনও দায়িত্ব আমার আর রইল না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে হেতমপুর অঞ্চলে প্রতিটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করুক এই আশা রাখি।’
অভিনিবেশবাবুর এই পদত্যাগে হতবাক স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি জানিয়েছেন, ও তো দলের ভালোই কাজ করে। এর মধ্যে ওর কী হল জানি না। আমাদের ও কিছু জানায়নি। কয়েকজন কর্মীর সঙ্গে মতনৈক্য থাকতেই পারে। তাই বলে পদত্যাগ করতে হবে না কি? বিষয়টি ব্লক সভাপতিকে জানাব।
পালটা বিজেপি আক্রমণ শানিয়ে বলেছে, অনুব্রত মণ্ডল জেলে যাওয়ার পর থেকে এখানে কে জেলা সভাপতি হবে তা নিয়ে তৃণমূলে তুমুল গোষ্ঠীকোন্দল শুরু হয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে নীচের তলাতেও। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওরা গায়ের জোরে সব দখল করেছে। তার পর ৫ বছর লুঠপাট চালিয়েছে। মানুষের কাছে ওদের গ্রহণযোগ্যতা থাকবে কী করে? উনি যে স্বীকার করে সরে গেছেন এটা বড় কথা। ভবিষ্যতে আরও এই ধরণের ঘটনা ঘটবে। এব্যাপারে অভিনিবেশবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।