থানাগুলো সব পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। শাসকদলের চাপে চাকরি বাঁচাতে বিজেপি কর্মীদের হেনস্থা করতে বাধ্য হচ্ছেন পুলিশকর্মীরা। হাবরায় দলীয় কর্মী গ্রেফতারে এই ভাষাতেই শুরু করলেন বিজেপির উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়।
বুধবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের নির্দেশে বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দিন কয়েক আগে তৃণমূলের মারে আমাদের এক কর্মীর মাথা ফেটেছে। সেই ঘটনায় বিজেপি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল তাদের কারও গায়ে হাত দেওয়ার সাহস হয়নি পুলিশের। কারণ তারা শাসকদলের কর্মী। এরকম অন্তত ১ ডজন মামলা হাবরা থানায় বিজেপি করেছে। যার কোনও তদন্ত করেনি পুলিশ।’
মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনার বিবরণ দিয়ে শঙ্করবাবু বলেন, ‘গতকাল CAA-র সমর্থনে হাবরা বাজারে প্রচার করছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেই দলে ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। দোকানিদের কাছে গিয়ে CAA-র সমর্থনে প্রচার করছিলেন তাঁরা। তখনই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এক তৃণমূল সমর্থক ব্যবসায়ী। বিজেপির দেওয়া লিফলেট তিনি ছুড়ে দোকানের বাইরে ফেলে দেন। এতেই বাঁধে বচসা।’
শংকরবাবুর অভিযোগ, তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও রাতে ব্যবসায়ীকে গিয়ে দোকানে হামলা ও গয়না চুরির চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করায় তৃণমূল। সকালে জানা যায়, তাতে না কি NRC-র কাগজ দেখতে চাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
শংকরবাবুর প্রশ্ন, মঙ্গলবার বিকেলে হাবরা বাজারে অন্তত ৫০০ ব্যবসায়ীর কাছে লিফলেট বিলি করে বিজেপি কর্মীরা। নথি দেখতে চাওয়ার অভিযোগ তো দূর অস্ত, কেউ কোনও অভিযোগই করলেন না। একজন ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধরপাকড় করতে নেমে গেল পুলিশ। পুরো ঘটনাটাই তৃণমূলের পরামর্শে পুলিশের সাজানো বলে দাবি করেন তিনি।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক দল। গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ করব। এভাবে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে পশ্চিমবঙ্গে রোখা যাবে না।’