রাজ্য উপনির্বাচনে হারের জন্য ইভিএম কারচুপির দিকে আঙুল তুলল বিজেপি। উপনির্বাচনে প্রশাসনিক সহায়তা নিয়েছে তৃণমূল, নির্বাচন কমিশনের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানালেন বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা।
শুক্রবার রাহুল সিনহা বলেন, ‘দেশের সমস্ত নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণাধীন হলেও উপনির্বাচনের দায়িত্ব থাকে রাজ্য প্রশাসনের হাতে। যে কোনও উপায়ে নির্বাচন জেতার চেষ্টা করে তৃণমূল।’
পাশাপাশি, ইভিএম কারচুপি নিয়ে তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে যা ইচ্ছা করা যায়। ভোট গণনার সময় শাসকদলের কারচুপি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’
নিজের সন্দেহের কারণ হিসেবে রাহুল বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ ও খড়্গপুর সদর বিধানসবা কেন্দ্রে বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল বিজেপি। এর মধ্যে কালিয়াগঞ্জ ও করিমপুরে ২০১৬ বিধানসবা নির্বাচনের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছিল দল। তা সত্ত্বেও তিনটি আসনেই এবার আমরা হারলাম। এই প্রথম খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে তৃণমূল জিতল। এই সমস্ত ঘটনা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সংবাদমাধ্যম থেকে আম জনতা, উপনির্বাচনে তিন কেন্দ্রেই বিজেপির জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করা হচ্ছিল।’
কালিয়াগঞ্জ কেন্দ্রে এবারের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী তপন দেব সিংহ বিজেপি প্রার্থী কমল চন্দ্র সরকারকে ২,৪১৪ বোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। করিমপুরে তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারকে ২৪,০০০ এর বেশি ভোটে হারিয়েছেন। অন্য দিকে খড়্গপুর সদর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রেমচন্দ্র ঝা-কে ২০,৭৮৮ ভোটে পরাজিত করেছেন তৃণমূলের প্রদীপ সরকার।