কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের পর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের সোনাচূড়া পঞ্চায়েত। ছুটির দিনেও গভীর রাতে খোলা থাকল পঞ্চায়েত অফিস। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতর। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তথ্য লোপাটের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত উপপ্রধান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী এবং সমর্থকরা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই পঞ্চায়েত অফিসে গভীর রাত অবধি কাজ হচ্ছে। গতকাল ছুটির দিনেও গভীর রাত অবধি কাজ হয়েছে পঞ্চায়েত অফিসে। তা দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এরপর তারা সেখানে গিয়ে জানতে পারেন পঞ্চায়েত কর্মীরা সেখানে কাজ করছেন। ঘটনায় খবর পেয়ে সেখানে যান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তারা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। এ বিষয়ে বিজেপির তমলুক জেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাহেব দাস বলেন, গত কয়েকদিন ধরে গভীর রাত অবধি পঞ্চায়েতে কাজ হচ্ছে। সারা বছর ধরে এরা কোনও কাজ করেনি। একের পর এক দুর্নীতি করেছে। এখন কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে আসছে। তাই দুর্নীতির নথি সরানোর জন্যই গভীর রাত অবধি অফিসে কাজ করছে তৃণমূল। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জন্য আবেদন জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
অন্যদিকে এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন সোনাচূড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধান। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় দল পরিদর্শনে আসছে তার জন্য অনেক কাগজপত্র ঠিকঠাক রাখতে হয়। তার জন্য গভীর রাত অবধি কাজ চলছে। তাছাড়া পঞ্চায়েত একটি স্বশাসিত সংস্থা। কখন কাজ করবে কখন করবে কখন কাজ করবে না সেটা সম্পূর্ণ পঞ্চায়েত ঠিক করতে পারে। এ নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করছে।’ উল্লেখ্য, ঠিক একই ভাবে শুক্রবার গভীর রাতে মেখলিগঞ্জে মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের করণে কাজ করতে দেখে বিক্ষোভ করেছিলেন স্থানীয়রা। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল বিষয়ক অধিকারীকে বাঁচানোর জন্য তথ্য লোপদের চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল।