আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখন জেলায় জেলায় সরগরম হয়ে উঠেছে শাসক–বিরোধীদের প্রচার। তার মধ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলছে। বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অভিযোগের পাল্টা অভিযোগ চলছে সমানে–সমানে। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রামে চলছিল তৃণমূল কংগ্রেসের মোটরবাইক মিছিল। আর সেই মিছিল থেকেই বিজেপির বুথ সভাপতির উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও তা অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির।
ঠিক কী ঘটেছে ঝাড়গ্রামে? ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের চর্চিতা অঞ্চলে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এখানের বিজেপির বুথ সভাপতি চন্দ্রশেখর বেরার উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার চর্চিতা অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের একটি মোটরবাইক মিছিল চলছিল। সেই মিছিলের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাজীব কর–সহ দলবল বাঁশ, রড দিয়ে ওই বিজেপি নেতার উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।
তারপর ঠিক কী ঘটল? তখন ওই বিজেপি নেতাকে বাঁচাতে যায় তাঁর স্ত্রী সরস্বতী বেরা। তাঁর উপরও হামলা চালানো হয় অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আহত বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর বেরাকে তপসিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই আহত বিজেপি নেতাকে দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলার সভাপতি তুফান মাহাতো। এই ঘটনায় তুফান মাহাতো অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার দাবি জানান।
ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস? এই ঘটনার পর বেলিয়াবেড়া থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রাজীব কর ও দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাল্টা গোটা ঘটনা অস্বীকার করে গোপীবল্লভপুর দু’নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি টিঙ্কু পাল বলেন, ‘ওরা তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা পুড়িয়ে দিয়েছিল। তাই নিয়ে একটা ধাক্কাধাক্কি হয়। কিন্তু এমন কোনও কিছু ঘটেনি।’