বাড়িতে-বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয় ‘সজল ধারা প্রকল্প’-এর মাধ্যমে। অথচ অভিযোগ উঠেছে হুকিং করেই নাকি এই প্রকল্পের জন্য পাম্প চালানো হচ্ছে। আর সেই হুকিংয়ের তারের সংস্পর্শে এসে এক ব্যক্তির মৃত্যু হল বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় মাঝি। তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি। এই মৃত্যুকে ঘিরে যেমন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে, তেমনই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের মাঝি গ্রাম পঞ্চায়েতের ইছাপুর গ্রামে। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি। যদিও নিয়ম মেনে প্রকল্প চলছিল বলে পালটা দাবি করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন: বাড়ি তৈরির সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ২ রাজমিস্ত্রির, দেহ আটকে বিক্ষোভ
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সজল ধারা প্রকল্প থেকে জল পড়ছিল। সেখানে মুখ ধুতে গিয়েছিলেন ১৩৭ নম্বর বুথের সভাপতি। তখনই বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসেন তিনি। ঘটনায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই গ্রামে এবং তার আশেপাশে বেশ কয়েকটি সজল ধারা প্রকল্পে পাম্প চলে। সেক্ষেত্রে অনেক পাম্প হুকিং করে চালানো হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতর এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত সব জানার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
এ বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত এবং বিদ্যুৎ দফতরের অবহেলার কারণে একজনের প্রাণ গেল। তাঁদের অভিযোগ, মঙ্গলকোটে জুড়ে যে পাম্প বসানো হয়েছে, সেগুলি হুকিং করে চলে। সাধারণ মানুষ ট্যাক্স দেয়। তা সত্ত্বেও কেন হুকিং করা হচ্ছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। আর হুকিংয়ের ফলে একজনের মৃত্যু হওয়ায় কার্যত রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
যদিও মাঝি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে সজল ধারা প্রকল্পের জন্য যে পাম্প রয়েছে তা চালানোর জন্য সার্ভিস লাইন টানা রয়েছে। হুকিংয়ের কথা তিনি স্বীকার করেননি। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকেও অভিযোগ স্বীকার করা হয়নি। তবে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে মিটার ছিল না বলে দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।