পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগে আজ বুধবার সেখানে বন্ধ পালিত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধের সকালই দোকানপাট জোর করে বন্ধ করার অভিযোগ উঠল। বন্ধ সফল করতে রাস্তায় নেমে বিজেপি পথ অবরোধ শুরু করে। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন্ধ ঘিরে বিজেপির পিকেটিং থেকে তাণ্ডব শুরু হয়। বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশের গাড়িকেও যেতে বাধা দিয়েছেন বিজেপির কর্মীরা। যদিও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে প্রস্তুত পুলিশও। রাস্তায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। মজুত রয়েছে জলকামানও।
এদিকে বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে খুনের জেরে অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। আজ, বুধবার জোর করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে দোকানপাট বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের গাড়িকেও ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিজেপির কর্মীরা মিছিল থেকে চিৎকার শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তমলুকের এসডিপিও’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। বিজেপি এই খুনের পিছনে তৃণমূল কংগ্রেসের হাত আছে বলে অভিযোগ তুলেছে গেরুয়া শিবির।
অন্যদিকে এই খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন বিজেপি নেতারা। তাই একদিনে জোড়া সিবিআই তদন্তের দাবিতে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ময়নায় নিহত বিজেপির বুথ সভাপতির ছেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিও তুলেছেন তাঁরা। আবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছে কালিয়াগঞ্জের নিহত যুবকের পরিবারও। সব মিলিয়ে এখন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ময়নায়। তার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ এখনও খুনিকে ধরতে পারেনি বলে বিজেপি অভিযোগ করেছে। এই খুনের ঘটনার পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। তাই পুলিশের উপর তাঁরা ভরসা রাখতে পারছেন না। যদিও এই খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূল কংগ্রেস জড়িত এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। বন্ধ ডেকে এই খুনের শেষ দেখে ছাড়বেন বলে হুমকি দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। আর বিজেপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করলে বিক্ষোভ–আন্দোলন চলবে। ইতিমধ্যেই এক বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের দাবি, তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবরোধ করছিলেন। কিন্তু পুলিশ এসে তুলে দিতেই এই আটক।