বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বাংলায় একশো জনসভা করতে চলেছে বিজেপি, লক্ষ্য কি লোকসভা নির্বাচন?‌

বাংলায় একশো জনসভা করতে চলেছে বিজেপি, লক্ষ্য কি লোকসভা নির্বাচন?‌

বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সভা (PTI)

অভিষেক প্রত্যেকটি জেলায়, ব্লকে এবং গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করছেন। মানুষের বিপুল সাড়াও পাচ্ছেন।  বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই বর্ষপূর্তি উৎসবকে আঁকড়ে ধরে এমন পদক্ষেপ করতে চাইছে। কাজে লাগাতে চাইছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সূত্রের খবর, ৩০ মে থেকে ৩০ জুন—মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নির্দেশ এসেছে।

এবার ৯ বছর পূর্ণ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তাই গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিতে হবে। কেন্দ্রীয় শাসকদল বলে কথা। তাই গোটা দেশে বড় কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্য হল পশ্চিমবঙ্গ। এখানেই বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ১০০টি জনসভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকী বঙ্গ–বিজেপিকে এমনই সার্কুলার দিয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সদ্য কর্ণাটকে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। সেখানে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই বর্ষপূর্তি উৎসবকে প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কেমন করে হবে বর্ষপূর্তি উৎসব?‌ বিজেপি সূত্রে খবর, এই বর্ষপূর্তি উৎসব প্রতিটি জেলায় করতে হবে। প্রত্যেকটি জেলায় গিয়ে জনসভায় করতে হবে। আর সেখানে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের রাখতে হবে। চা–চক্র থেকে নৈশভোজ। এই সমস্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের মন্ত্রী, সাংসদ, দলের নেতাদের উপস্থিত থাকতে হবে। প্রত্যেকটি জনসভায় ৯ বছরে মোদী সরকারের গৌরবজ্জ্বল পদক্ষেপগুলি তুলে ধরতে হবে। জনসংযোগ বাড়াতে মানুষের দরজায় যেতে হবে। ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর মানুষের কতটা সেবা করেছে বিজেপি সেটা তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমন পদক্ষেপ কেন নিতে হচ্ছে?‌ বাংলার মাটিতে এখন সব থেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকটি জেলায়, ব্লকে এবং গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করছেন। তাতে মানুষের বিপুল সাড়াও পাচ্ছেন। এটাতে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। তাই বর্ষপূর্তি উৎসবকে আঁকড়ে ধরে এমন পদক্ষেপ করতে চাইছে। আর তাতে কাজে লাগাতে চাইছে সোশ্যাল মিডিয়াকে। সূত্রের খবর, ৩০ মে থেকে ৩০ জুন—মোদী সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এমন নির্দেশ এসেছে বাংলার জন্য।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ যে বাংলার জন্য এসেছে তাতে বলা হয়েছে, প্রত্যেকটা মণ্ডল স্তরে ১০০ জনের একটি করে সভা করতে হবে। সব লোকসভায় বুদ্ধিজীবীদের সভায় নিয়ে আসতে হবে। ক্রীড়াবিদ, শিল্পপতি, শহিদ পরিবারের সদস্য–সহ সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।‌ ব্যবসায়ী সম্মেলন করে বার্তা দিতে হবে। আদি–নব্য নেতাদের সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে। আজ, রবিবার রাজ্য কার্যকারিনী বৈঠকে এই সার্কুলার সবাইকে দেওয়া হবে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক আদি নেতা বলেন, ‘‌একটা সার্কুলার এসেছে ঠিকই। সংগঠন নিয়ে ভাবতে হবে। এখন অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। নির্বাচনও সামনে। তাই এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। জেলার মানুষ তৃণমূলের দিকে ঘুরছে। সেটা আটকাতে হবে।’‌

বন্ধ করুন