BJP প্রার্থীকে বুথে প্রবেশে বাধা বাহিনীর, প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে বচসা

সকাল থেকেই বৃষ্টি। আর সেইসঙ্গে চলেছে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ চলাকালীন উত্তেজনা ছড়াল নদিয়ার কালীগঞ্জে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ। সঙ্গে থাকা এজেন্টকে বুথে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন তিনি। ঘটনার জেরে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন আশিসবাবু।ঘটনাটি দেবগ্রামের চাঁদঘর আদর্শ বিদ্যাপীঠের ৫৪ নম্বর বুথে ঘটেছে। (

বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসার নিরপেক্ষ নন। তিনি শাসকদলের হয়ে কাজ করছেন। তাঁর কটাক্ষ, তৃণমূলের ক্যাডার হয়ে কাজ করছেন প্রিসাইডিং অফিসার। এমনই সরাসরি মন্তব্য করেন তিনি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও কিছু সময় প্রার্থী ও তাঁর সঙ্গী এজেন্টকে ভিতরে ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। (

জানা গিয়েছে, এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানান বিজেপি প্রার্থী। তার কিছুক্ষণ পর নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ফোন আসে সংশ্লিষ্ট বুথে। কমিশনের হস্তক্ষেপেই পরে বিজেপি এজেন্টকে বুথে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রিসাইডিং অফিসার জানান, ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এটা হয়েছিল। পরে এজেন্টকে বসানো হয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থীর পাল্টা প্রশ্ন, কেন ঘণ্টা খানেক আগে বিজেপির এজেন্টকে বুথে বসতে বাধা দেওয়া হল। কী কারণ রয়েছে এর পিছনে? তাই নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে আশিস ঘোষ জানান, এই অফিসাররা মুখে অন্য কথা বলেন। তবে আদতে ওঁরা তৃণমূলের লোক। নির্বাচন কমিশনকে সব জানানো হয়েছে। ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথ থেকে অভিযোগ আসছিল যে বিরোধী দলের এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোথাও আবার বুথে থাকা এজেন্টদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে কিছু এলাকায় ইভিএম খারাপ থাকার খবরও এসেছে।

অন্যদিকে, শাসকদলের প্রার্থী আলিফা আহমেদ সকালেই দাবি করেছিলেন, বিরোধীরা নিজেদের এজেন্ট দিতে পারছে না। সেখানে তৃণমূলের কিছু করার নেই। সেটা বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা।উল্লেখ্য, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও আজ কালীগঞ্জে চলছে ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই ভোটারের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও বৃষ্টি কমতে ভোটারের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।