সাঁতরাগাছি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় গণ্ডগোল থামার কোনও লক্ষণ নেই। পরিস্থিতি এমন জায়গায় গিয়েছে এবার বিজেপি কর্মীরাই তাড়া করলেন পুলিশকে। সঙ্গে ইটবৃষ্টি। ক্রমেই পিছু হঠতে শুরু করে পুলিশ। গোটা হাইওয়ে জুড়ে মুড়ি মুড়কির মতো ইট ছুঁড়তে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।
ক্রমেই এগোতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। অন্য়দিকে পিছু হঠতে শুরু করে বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাস্তার এক প্রান্তে পুলিশ ও রাস্তার অপর প্রান্তে উত্তেজিত বিজেপি কর্মীরা। একেবার রণক্ষেত্রের চেহারা। বিজেপি কর্মীদের রুদ্র রুপের কাছে কিছুক্ষণের জন্য় পুলিশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায়। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করা যায় নি।
পরে অবশ্য পজিশন নেয় পুলিশ। কিন্তু ততক্ষণে রাস্তার অপর প্রান্তের দখল নিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। গোটা রাস্তা আটকে পুলিশকর্মীরা। তবে তাতেও অবশ্য ইটবৃষ্টি থামেনি। প্রথমদিকে পুকুরের একদিকে ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। সেখান থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন তাঁরা। শুভেন্দু অধিকারীকে মুক্তির দাবি তুলছিলেন তাঁরা। এরপর ক্রমেই এগোতে থাকেন তাঁরা। আর তার জেরে পুলিশ ক্রমেই পিছু হঠতে শুরু করে। সাঁতরাগাছি স্টেশনের রেললাইনের পাথর, নির্মীয়মান বিল্ডিংয়ের ইট, কাঁচের বোতল, লোহার টুকরোও ছুঁড়তে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা।
একটা সময় দেখা যায় গোটা এলাকার দখল নিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। এলাকা ছেডে় কার্যত সরে যায় পুলিশ। তবে পুলিশের এই ব্যাকফুট অবস্থানকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণভাবে মনে করছেন অনেকেই। বিজেপি কর্মীদের দাবি, পুলিশ কেন কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে? শুভেন্দু অধিকারীকে মুক্তি দিতে হবে। এদিকে সাঁতরাগাছিতে নামা রেল যাত্রীদের সুরক্ষাও প্রশ্নের মুখে।