রায়গঞ্জে পুলিশ হেফাজতে মৃত বিজেপি কর্মী অনুপ রায়কে গুলি করে মারা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে এসেছে। এমনটাই দাবি জেলা বিজেপি নেতৃত্বের। আদালতের নির্দেশে শনিবার দ্বিতীয়বার অনুপের দেহের ময়নাতদন্ত হয়। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অনুপের দেহে অন্তত ৩টি গুলির দাগ রয়েছে। সেগুলি প্রথমবার ময়নাতদন্তের পর সেলাই করে বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শনিবার রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শবাগারে প্রায় আড়াইঘণ্টা ধরে ময়না তদন্ত চলে। সেই সময় সেখানে হাজির ছিলেন মৃতের দাদা, বিজেপির আইনজীবী। গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়ো তোলা হয়।
ময়নাতদন্তের পর স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকারের দাবি, ‘যুবককে প্রথমে ভারী জিনিস দিয়ে মাথায় আঘাত করার পর এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। তাই তাঁর হাতে, বুকে ও নিতম্ভে গুলির দাগ মিলেছে।’ওই বিজেপি নেতার দাবি, গুলির দাগ লোপাট করলে সেগুলি সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল।
এদিন ময়নাতদন্তের শেষে দেহ নিয়ে ইটাহারে যান বিজেপি কর্মীরা। তবে সেখানে এক বিজেপি নেতার ছেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রয়াত হওয়ায় দেহ নিয়ে মিছিলের পরিকল্পনা বাতিল করা হয়।
ঘটনায় বৃহস্পতিবার ৫ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন অনুপের মা গীতারানি রায়। এর পরই দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। গত বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ ইটাহারের নন্দনগ্রামে তাঁর বাড়ি থেকেতুলে আনে পুলিশ। রাত ৮.৩০ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়। মৃত্যুর ৩ ঘণ্টার মধ্যে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে দেহের ময়নাতদন্ত করায় পুলিশ।