ভোটের দিনক্ষণ অজানা, দলীয় প্রতীকে প্রার্থীর নাম ছাড়াই ভোট প্রার্থনা BJP-র

নির্বাচনের নির্ঘণ্টা প্রকাশ না হতেই দলীয় প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে পোস্টার দিয়ে দিল।

সেই পোস্টার (ছবি সৌজন্য সংগৃহীত)

বাংলার নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হবে ২০২১ সালে। কিন্তু ক্ষমতা পেতে এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি যে, নির্বাচনের নির্ঘণ্টা প্রকাশ না হতেই দলীয় প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করে পোস্টার দিয়ে দিল। মঙ্গলবার থেকে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর–সহ ৩৫ নম্বর রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ছেয়ে গিয়েছে এই পোস্টারে। আর তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে।

এখানেই শেষ নয়। সেই পোস্টারে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, ‘‌নতুন চালে করব নবান্ন, ২০২১ সালে জয় হবে নবান্ন।’‌ ঠিক তার নীচেই পদ্মফুল আঁকা, আর লেখা, এই চিহ্নে ভোট দিন। কাকে ভোট দেবে মানুষ সে কথার উল্লেখ নেই। কারণ সেখানে কোনও ব্যক্তির ছবি নেই। তাছাড়া বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। তাই এই পরিস্থিতি ক্ষমতা দখলের মরিয়া বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

এই পোস্টার নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই পদ্ম শিবিরের দাবি, আগামী নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে চাইছে। তাই এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে। বিজেপি‌র উত্তর শহর মণ্ডল সভাপতি অভিজিৎ যোশী বলেন, ‘‌মানুষের আবেগ বুঝতে পেরেই এই ব্যানার লাগানো হচ্ছিল। তবে সাধারণ মানুষই জানিয়েছেন কোনও প্রচারের প্রয়োজন নেই। কারণ বিজেপি মানুষের মনে রয়েছে।’‌ দোষ ঢাকতে এখন 'বেশ করেছি' মানসিকতা দেখাচ্ছে পদ্ম শিবির বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ঘটনায় তৃণমূলের রায়গঞ্জ বিধানসভার কো–অর্ডিনেটর তথা রায়গঞ্জের উপ–পুরপ্রধান অরিন্দম সরকার বলেন, ‘‌বিজেপি করোনার জেরে লকডাউনে এই জেলার মানুষের কোন কাজে এসেছে, সেটা মানুষই ভালো জানেন। ওনাদের কাউকে কোনওদিন দেখা যায়নি। ওসব পোস্টার দিয়ে কোনও লাভ হবে না। এবারে আরও বিপুল ভোটে গোটা রাজ্যের সঙ্গে রায়গঞ্জ বিধানসভাতেও ঘাসফুল চিহ্নে তৃণমূল প্রার্থীই জয়ী হবেন। কারণ তাঁরা মানুষের সঙ্গে আছেন।’‌