ভোটে ধরাশায়ী হওয়ার পর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন দলের একাংশ নেতা-কর্মীরা। তার পর থেকেই দলে বেসুরোদের ভিড় বাড়ছে। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে যাঁরা বিজেপিতে ভিড়েছিলেন, ফলপ্রকাশের পর তারাই ফের তৃণমূলে ফিরতে মরিয়া। ইতিমধ্যেই একাংশ দলবদলুরা ফিরেছেন পুরনো আস্তানায়। তার মধ্যেই এবার উলটপুরাণ।
ক্রমাগত দলবিরোধী কাজের দায়ে এবার মালদহের দুই নেতাকে বহিষ্কার করল পদ্মশিবির। একইসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে হুগলির এক নেতাকে। বিজেপির অভিযোগ, এই দুই নেতা ক্রমাগত দলবিরোধী কাজ করেছেন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার এই দুই নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন দুই নেতার বিরুদ্ধে দলের সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দোপাধ্যায়ের সই করা বহিষ্কারপত্র জারি করে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে উল্লেখ করা হয় যে, শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সুপারিশ ও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশ অনুযায়ী মালদহের নিতাই মণ্ডল ও সঞ্জিত মিশ্রের দলীয় সদস্যপদ খারিজ করা হচ্ছে। এছাড়াও দলের তরফে হুগলির বিজেপি নেতা সুবীর নাগকে সতর্কও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার পর গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছিল। প্রার্থী না-করায়, অনেক নেতাই দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। সেই রেশ জারি থাকে ফলাফল ঘোষণার পরেও।
ভোটে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার পর শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন দলের কর্মী-সদস্যদের একাংশ। অবশ্য রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের দলের নেতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। কিন্তু দলের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সদস্যপদ খারিজের এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।