হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম শাসকদলের বিরুদ্ধে বড় কোনও অভিযোগ পায়নি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সিবিআই বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম রিপোর্টে লিথেছেন, ‘বাংলায় জারি করা হোক রাষ্ট্রপতি শাসন’। কিন্তু তার উপযুক্ত কারণ সেখানে উল্লেখ করা হয়নি। বরং ভাববাচ্যে লেখা হয়েছে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং বাড়ছে অপরাধ। তাই ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা কার্যকর করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
ঠিক কী বলছেন বিজেপি বিধায়ক? বিজেপি বিধায়ক তথা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্য শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘এটা মানুষের আওয়াজ। মানুষ চাইছে ৩৫৫ হোক, ৩৫৬ হোক জারি করা হোক। মানুষ তো ধারা বোঝে না, মানুষ শান্তি চায়।’ আর বিজেপি সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘৩৫৫–৩৫৬ ধারার কথা শুধু আমরা বলছি না, সব বিরোধী দল বলছে। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে এছাড়া কোনও পথ নেই।’
ঠিক কী লেখা হয়েছে রিপোর্টে? বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির রিপোর্টে লেখা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাজে নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে না। কারণ, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্তদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অভিযুক্ত জেলের ভিতর থেকেও সাক্ষী এবং তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত করতে পারে।’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচন এবং তার পরবর্তী যতগুলি নির্বাচন রাজ্যে হয়েছে তাতে বিজেপি গোহারা হয়েছে। তারপর থেকেই বিজেপি নেতারা বারবার বাংলায় ৩৫৫ কিংবা ৩৫৬ ধারা জারির দাবি জানিয়ে আসছেন। যা নিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন রাজ্য–রাজনীতির যা পরিস্থিতি তাতে এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিলে পুরো ডিভিডেন্ট পাবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।