বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে টাকা নয়ছয় ও দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই বিজেপি নেতাকে আদালতে তোলা হলে সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় রায়গঞ্জ আদালত। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। বিজেপির প্রাক্তন প্রধান অমল সরকার এবং অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সচিব প্রশান্ত থোকদারকে সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
কিভাবে পুলিশের জালে এলেন তাঁরা? পুলিশ সূত্রে খবর, এই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর থেকেই তাঁদের উপর চাপ বাড়ছিল। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে তাঁরা আদালতের কাছে আত্মসমর্পন করতে বাধ্য হয়। তখন পুলিশ রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নং রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি আধিকারিক পঞ্চায়েত সচিব প্রশান্ত থোকদার ও বিজেপির প্রাক্তন প্রধান অমল সরকারকে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে। আর আদালতে তোলা হলে সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় রায়গঞ্জ জেলা আদালত।
ঠিক কী অভিযোগ এঁদের বিরুদ্ধে? গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এঁরা দু’জন মিলে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই টাকা নয়ছয় করার কথা জানাজানি হতেই তাঁদের উপর চাপ তৈরি হয়। তখন তাঁরা আত্মসমর্পন করেন। আর সেই অভিযোগের পরিপেক্ষিতে রায়গঞ্জ জেলা আদালত সাতদিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
এই বিষয়ে রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার বলেন, ‘বিজেপির প্রাক্তন প্রধান অমল সরকার এবং পঞ্চায়েতের সচিব প্রশান্ত থোকদার দু’জনে মিলে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। রায়গঞ্জ থানায় এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এই দুই অভিযুক্ত আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁদের সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।’