সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পলের পর এবার শো–কজ নোটিস পেলেন গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। দল–বিরোধী কাজের অভিযোগে শো–কজ করা হল বিজেপি’র আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। একই কারণে শো–কজ় করা হয়েছে নাগরাকাটার বিজেপি’র মণ্ডল সভাপতি সন্তোষ হাতিকে। ফলে এই শো–কজের বন্যায় ভাসছে গেরুয়া শিবির।
এই শো–কজের জবাব সাতদিনের মধ্যে দিতে দুই নেতাকেই নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্ব। যার পরই রাজ্য বিজেপি’র উদ্দেশ্যে গঙ্গাপ্রসাদের বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া, ‘উচিত উত্তর পাবেন।’ যা নিয়ে দলের অন্দরে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এমনকী সূত্রের খবর, প্রয়োজনে দল ছেড়ে তৃণমূলে গিয়ে জবাব দেবেন বিজেপিকে।
বিজেপি সূত্রে খবর, গঙ্গাপ্রসাদের উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার পাঠানো শো–কজ়ের চিঠিতে দলের রাজ্য সহ–সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, গত ১৮ ডিসেম্বর দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ। ১৯ ডিসেম্বর একইভাবে সংবাদমাধ্যমে দল বিরোধী বিবৃতি দিয়েছেন নাগরাকাটার সন্তোষ। তবে সেই বিবৃতি কী, তা অবশ্য চিঠিতে উল্লেখ নেই।
আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন সাংসদ দশরথ তিরকে–কে দলে নেওয়ার প্রতিবাদে আলিপুরদুয়ারের কামাখ্যাগুড়ি, বারবিশা এবং শামুকতলায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি’র নিচুতলার নেতা–কর্মীরা। বিধায়ক সুকরা মুন্ডাকে দলে নেওয়া নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন বিজেপি’র নাগরাকাটার নেতা–কর্মীরা। বিজেপি’র একাধিক নেতা সংবাদমাধ্যমে বিবৃতিও দেন। তাই এই দুই নেতাকে শো–কজ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে বিজেপি’র রাজ্য সহ–সভাপতি প্রতাপ বলেন, ‘দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নির্দেশে দুই নেতাকে শো–কজ়ের চিঠি পাঠিয়েছি।’ শো-কজ়ের চিঠি হাতে পাওয়ার পর গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, ‘চিঠি পেয়েছি। সাতদিনের মধ্যে ভেবেচিন্তে রাজ্য নেতৃত্বকে উত্তর দেব।’ কিক্ষণের মধ্যেই গঙ্গাপ্রসাদ ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। যেখানে তিনি লেখেন, ‘ধন্যবাদ রাজ্য বিজেপিকে আমাকে শো–কজ নোটিশের জন্য। উচিত উত্তর পাবেন।’ তবে নাগরাকাটার সন্তোষ জানান, শো–কজের চিঠি হাতে পাইনি।