আজ, শুক্রবার সকালে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের মণ্ডল ৪ বিজেপি কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা। হাতে প্রার্থী তালিকা নিয়ে পুরনোদের প্রার্থী করতে হবে দাবি তুলে দলীয় মণ্ডল সভাপতিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের দাবি, পুরনো কর্মীদের অন্ধকারে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে আসা লোকজনকে প্রার্থী করতে চাইছে নেতৃত্ব। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তাঁরা। এমনকী জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে পুরনো যোগ্য বিজেপি কর্মীদের ত্রিস্তর নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ দিতে হবে দাবি তোলেন বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীরা। বিক্ষোভকারী যোগ্য প্রার্থীদের তালিকাও সভাপতির হাতে তুলে দেন তাঁরা। যদিও বিক্ষোভ বা ঘেরাও করার কথা অস্বীকার করেছেন বিজেপি ৪ নম্বর মণ্ডল সভাপতি। তাঁর দাবি, ওঁরা যোগ্যদের প্রার্থী করার দাবি জানিয়েছেন। সেটা জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কাকে টিকিট দেবেন সেটা জেলা নেতৃত্বই সিদ্ধান্ত নেবেন। বিজেপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের ঘটনাকে আদি–নব্য বিজেপির দ্বন্দ্ব বলেই কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ছবি আগামী দিনে আরও বড় আকার নেবে বলে মনে করছেন তৃণমূলের জেলার নেতারা।
অন্যদিকে বর্ধমানে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল। পার্টি অফিসের গেটে বিদ্রোহীরা তালা দিলে পাল্টা মারধর করে অফিসের দখল নেয় অফিসিয়াল গ্রুপ। বুধবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবস ছিল। এই ঘটনাতে প্রতিষ্ঠা দিবসে বিজেপির অন্দরের বেআব্রু চেহারাটা আরও একবার দেখলেন মানুষজন। জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা এবং যুব সভাপতি পিন্টু সামের অপসারণের জোরালো দাবি ওঠে। এমনকী দলের সহ–সভাপতি শ্যামল রায়কে কেন বহিষ্কার করা হল? তার জবাব চাইতে থাকেন নেতারা। বিক্ষোভকারীরা পার্টি অফিসের সামনে দলের ঝাণ্ডা হাতে বসে যান। তখন ‘অফিসিয়াল’ গোষ্ঠীর নেতারা সেখানে গিয়ে বিদ্রোহীদের মারধর করে হটিয়ে দিয়ে পার্টি অফিসের দখল নেন বলে অভিযোগ।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, শুক্রবার বড়নীলপুরে বিজেপির একটি কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের এক হেভিওয়েট নেতার সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। তার আগের দিনই নজিবিহীন এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিজেপির বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা রাজু পাত্র বলেন, ‘সিপিএম থেকে আসা কয়েকজন নেতা সংগঠনের ক্ষতি করছেন। তাঁদের পদ থেকে সরানোর দাবিতেই আমাদের আন্দোলন চলছে। দীর্ঘদিনের জেলার নেতা তথা সহ–সভাপতি শ্যামল রায়কে অন্যায়ভাবে দল থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁকে ফেরাতে হবে। সংগঠনের ভালোর জন্যই আমরা আন্দেলন করছি।’ বিজেপির জেলা যুব সভাপতি পিন্টু সাম বলেন, ‘ওরা তৃণমূলের কিছু দুষ্কৃতীকে এনে অফিসে তালা দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন ওরা গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছিল। আমরা ঘটনার সময় দলের অন্য একটা কর্মসূচিতে ছিলাম। খবর পাওয়ার পর পার্টি অফিসে আসি। আমাদের দেখেই ওরা পালিয়ে যায়।’