‘‌আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’‌, জবাবি চিঠিতে বিজেপিকেই তোপ ডায়মন্ডহারবারের প্রার্থীর

বঙ্গ–বিজেপির পক্ষ থেকে যে চিঠি অভিজিৎ দাসকে দেওয়া হয়েছিল তাতে উল্লেখ করা হয়, অভিজিতের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে অশান্তি, ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বিজেপি কর্মীদের বৈঠকে যেতে না দেওয়া, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে ঘিরে বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়া–সহ একাধিক অভিযোগ। তার জেরেই মেলে শোকজের চিঠি।

দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে শোকজ করেছিল বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত ববি। এবার পাল্টা জবাবি চিঠিতে রাজ‌্য বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিজিৎ দাস ওরফে ববি। ডায়মন্ডহারবারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সামনে দলের গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববিকে শোকজ করে বঙ্গ বিজেপি। সেই শোকজের চিঠির জবাব দিতে মঙ্গলবার সল্টলেক পার্টি অফিসে আসেন তিনি। আর চিঠি জমা দিয়েই রাজ‌্য নেতৃত্বের একাংশকে তুলোধনা করেন তিনি।

এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এসে ডায়মন্ডহারবার এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর সেই ঘটনার নেপথ্যে ববি রয়েছেন বলেই মনে করে বঙ্গ–বিজেপি নেতৃত্ব। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিজিৎ দাসের দাবি, ‘ওই ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। বাইরে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলাম। প্রয়োজনে সিসিটিভি দেখা হোক। সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন।’‌ বরং তিনি শোকজের চিঠি হাতে পাওয়ার আগেই কেমন করে সংবাদমাধ্যম খবর পেল, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অভিজিৎ। দলের পক্ষ থেকে যাঁরা এই কাজে যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানান পরাজিত বিজেপি প্রার্থী।

অন্যদিকে বঙ্গ–বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অভিজিৎ দাসের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেই এসব এখন করা হচ্ছে। দলের শোকজের চিঠি আগেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। পরে সেই চিঠি ডাক মারফত হাতে পান অভিজিৎ দাস (‌ববি)‌। বঙ্গ–বিজেপির একাংশের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী। তাঁর বক্তব্য, ‘‌আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে।’‌ ডায়মন্ড হারবারের আলতাবেড়িয়া যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। তাতেই অভিযুক্ত করা হয় অভিজিৎকে।

এছাড়া বঙ্গ–বিজেপির পক্ষ থেকে যে চিঠি অভিজিৎ দাসকে দেওয়া হয়েছিল তাতে উল্লেখ করা হয়, অভিজিতের বিরুদ্ধে পার্টি অফিসে অশান্তি, ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার বিজেপি কর্মীদের বৈঠকে যেতে না দেওয়া, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলকে ঘিরে বিক্ষোভে ইন্ধন দেওয়া–সহ একাধিক অভিযোগ। তার জেরেই মেলে শোকজের চিঠি। ডায়মন্ডহারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের গোটা ঘটনায় ইন্ধন ছিল বলে অভিযোগ উঠতেই তড়িঘড়ি তাঁকে শোকজ করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল বঙ্গ বিজেপির পক্ষ থেকে।