দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর ও কুলতলিতে জোড়া কর্মসূচি সেরে ফেরার পথে মাঝনদীতে দলের কর্মীদের সঙ্গে আটকে পড়েন ফ্যাশন ডিজাইনার বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কারণ, ভাটার টানে আটকে পড়ে তাঁদের ভটভটি। বাধ্য হয়ে তাঁদের অপেক্ষা করতে হয় নদীতে জোয়ারের জন্য। চারিদিকে কালো অন্ধকারের মাঝে বসে ওই এলাকায় উন্নয়নের অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অগ্নিমিত্রা।
শুক্রবার সারাদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায় নদীনালা পেরিয়ে সভা করেছেন বিজেপি–র মহিলা মোর্চার সভানেত্রী। প্রতিটি সভায় জনজোয়ার দেখা গিয়েছে। পরে সেই যাত্রাপথের বাধা অতিক্রম করার জন্য জোয়ারের জন্যই অপেক্ষা করতে হয় অগ্নিমিত্রাকে। রীতিমতো বিধ্বস্ত অবস্থায় এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলছিলেন, আগে কখনও তাঁর এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। একইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকার পরিবহণ ব্যবস্থার পরিকাঠামোর অবক্ষয় নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলছিলেন, ‘আমরা তো এক–দু’দিন আসি, কিন্তু যাঁরা এখানে থাকেন তাঁদের অবস্থা ভেবে কষ্ট হচ্ছে। এখানে বিকেল চারটের পর নাকি সব ট্রলার বন্ধ হয়ে যায়। এত গুলো বছরেও যাতায়াত ব্যবস্থার কোনও উন্নতিই হয়নি। বিকেল চারটের পর যদি কোনও মানুষের এমার্জেন্সি হয়, তবে তাঁরা কী করবেন?’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিজেপি নেত্রীর প্রশ্ন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এই সাড়ে ৯ বছর ধরে কী করলেন? উন্নয়নের খাতিরে কোটি কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু সেই টাকাগুলো কোথায় গেল? সবই কি সেই হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে গিয়ে জমা হচ্ছে?’
রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, ‘যাতে আমরা কোনও গাড়ি না পাই তার জন্য সমস্ত গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে যে যদি কেউ গাড়ি দেয় তবে তাঁর গাড়ির লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। আমরা সভা করে যখন ফিরলাম তখন ট্রলার মালিকদেরও বলে দেওয়া হয়েছে যাতে আমাদের কেউ ট্রলারে না নেয়। তাও মানুষকে আটকানো যায়নি। সভায় এসেছেন তাঁরা।’ এদিন শেষপর্যন্ত দলেরই এক কর্মীর ভটভটি করে নদী পারাপার হন অগ্নিমিত্রা পাল ও অন্য বিজেপি কর্মীরা।