সরাসরি নাম না করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে তুমুল আক্রমণ শানালেন অনুপম হাজরা। বিজেপি নেতা ‘পরামর্শ’ দিলেন, নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ব্যালেন্স’ করা ‘গাঙ্গুলি’-র কেরিয়ারের কী হবে, সেটা না ভেবে বেকারদের কেরিয়ার করা ‘গাঙ্গুলি’-র (বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়) কথা ভাবুন।
রবিবার টুইটারে একটি পোস্টে বিজেপি নেতা বলেন, ‘যাক, যাঁদের চিন্তায় ঘুম হচ্ছিল না যে গাঙ্গুলির কেরিয়ারের কী হবে, তাঁদের জন্য সুখবর যে গাঙ্গুলি বাবু সিএবি প্রেসিডেন্ট পদে দাঁড়াচ্ছেন। আর উনি যদি (নির্বাচনে) নাও দাঁড়াতেন, তাহলেও (একটি সংস্থার) গেঞ্জি পরে দাদাগিরি করে, (একটি ভোজ্য তেল সংস্থা) বা (একটি চাল সংস্থা) খেয়ে, (একটি আবাসনের) ফ্ল্যাট বিক্রি করে, (একটি ব্যাঙ্কে) টাকা জমিয়ে, মোদী-দিদি ব্যালেন্স করে (আগে অবশ্য বুদ্ধবাবু ছিলেন), নিজের জীবন ঠিক মহারাজের মতো চালিয়ে নিতেন।’
সরাসরি সৌরভের নাম না করলেও তিনি যে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ককেই আক্রমণ করেছেন, তা বোঝাতে কোনওরকম দ্বিধা করেননি বিজেপি নেতা। যিনি এমন একটা সময় সৌরভকে আক্রমণ করেছেন, যখন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট থাকছেন না প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক। সেই পরিস্থিতিতে ক্রিকেট অফ অ্যাসোসিয়েশন বেঙ্গলের (সিএবি) সভাপতি পদের নির্বাচনে লড়াই করবেন বলে নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন সৌরভ।
শনিবার সৌরভের সেই ঘোষণার পর বিজেপি নেতাঅনুপম বলেন, ‘তাই এই গাঙ্গুলির কেরিয়ারের কথা ছেড়ে (মানে আমি বোঝাতে চেয়েছি, যে গাঙ্গুলি শুধু কেরিয়ারের কথা ভেবে এসেছেন) অন্য এক গাঙ্গুলির কথা ভাবা ভালো। যে গাঙ্গুলি (বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় চাকরিপ্রার্থীদের মসিহা হয়ে উঠেছেন) বাংলার লাখ-লাখ শিক্ষিত, চাকরি না পাওয়া বেকার যুবকদের কেরিয়ারের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে লড়ে যাচ্ছেন দিনরাত।’
সেখানেই থামেননি অনুপম। তিনি আরও বলেন, 'তাও যদি জানতাম বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বাংলার কয়েকজন খেলোয়াড়কে এগিয়ে দিয়েছেন বা উল্লেখযোগ্যভাবে বাংলার কোনও সেবামূলক কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, (তাহলে বুঝতাম)। থাক, আর গভীর গেলাম না।'
আরও পড়ুন: BCCI President: ‘সারাজীবন কেউ প্রশাসক থাকে না, সবাইকেই একদিন প্রত্যাখ্যাত হতে হয়’, মুখ খুললেন সৌরভ
কেন দ্বিতীয় দফায় বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট থাকছেন না সৌরভ?
একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারিভাবে বিসিসিআইয়ের তরফে সৌরভকে জানানো হয়েছে যে বোর্ডের ইতিহাসে কোনও সভাপতি পরপর দুটি দফায় বোর্ডের শীর্ষপদে বসেননি। যদিও একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বোর্ডের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সৌরভ। তাঁর পারফরম্যান্সে খুশি ছিল না বোর্ডের একাংশ। যতটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল, তা পূরণ করতে পারেননি। বোর্ডের স্পনসরদের ‘শত্রু’-দের হয়ে বিজ্ঞাপন করায় সৌরভকে ভালো চোখে দেখছিলেন না অনেক। সেইসঙ্গে পুরো বিষয়টিতে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এন শ্রীনিবাসনও কলকাঠি নেড়েছেন বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও সেই সংক্রান্ত যাবতীয় ‘গুজব’ উড়িয়ে দিয়েছেন বোর্ডের বিদায়ী কোষাধ্যক্ষ অরুণ ধুমাল।